পুজোর সময় থেকেই চারিদিকে পোস্টার "উত্তর আসবেই"। ছোটমামা গম্ভীর মুখে বলেছিলো,"তা আসুক কিন্তু তার আগে প্রশ্ন আসুক, আর তার আগে আসুক মালপোয়া"। বলেই একটা মালপোয়া এক সেকেন্ডে গপাৎ।
তা প্রশ্ন আসেনি তবে পোস্টার বদলে নতুন পোস্টার এলো,"পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ, উত্তর আসবেই"। ছোটমামা গম্ভীর মুখে বলেছিলো,"তা আসুক, তবে তার আগে আসুক কম্পাস"।
রাজর্ষি দে র নতুন ছবি পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ, উত্তর আসবেই । চলন্ত একটা ট্রেনে যাত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। হঠাৎ অর্পিতাকে কোনও একটা গল্প শোনার জন্য জোরাজুরি কমলেশ্বরবাবুর। আমার বিশ্বাস ফাঁকা কামরা থাকলেও উনি গল্প বলতেন নিশ্চিত। প্রতিবেশী বয়স্কা যাত্রীটি ডায়ালগ ডেলিভারির দায়িত্ব সুন্দর পালন করেছেন। টানা বলে গেছেন। সামনের কারোর কথা শোনার বা বোঝাবার অবকাশ দেননি। এবং বক্তব্য শেষ করেই ধা হয়েছেন। ঠিক আমার এক দিদার মতো। তিনি অবশ্য কানে শোনেন না। যাই হোক, কমলেশ্বরবাবু গল্প শুরু করেন। তিনটি গল্প বলেন। গল্পের মাঝে মাঝে অর্পিতাও থেকে থেকে নিজের জীবনের কথা বলতে থাকেন, তা সে গল্পের সাথে যোগাযোগ থাকুক বা না থাকুক। কমলেশ্বরবাবুর তিনটি গল্পের প্রতিটিতেই ভীষণ রকম তাড়াহুড়ো। প্রথম গল্পটি শেষ হয়ে গেলো বোঝা গেলো যখন দ্বিতীয় গল্প শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় গল্পটিতে এক ভদ্রমহিলা পুরো গল্পটা জুড়েই ছিলেন। "মেয়ে বাড়ি এসেছে" থেকে "মেয়ে পালিয়ে গেছে" বরাবর তার এক অভিব্যক্তি। এ ধরণের চারিত্রিক গুণধারী মানুষের বাস্তবজীবনে আশেপাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। "জীবন মানেই মায়া" গোছের ভাব আসে, দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করে সে সাধ্য কার। এ ছাড়াও দ্বিতীয় গল্পটিতে আবার সেই তাড়াহুড়ো। দুষ্টের দুষ্টামি যত না রসিয়ে কষিয়ে দেখানো হলো, দুষ্টের দমন হলো পাঁচ সেকেন্ডে। কাট টু তৃতীয় গল্প। তৃতীয় গল্পটি আগে থেকে না পড়া থাকলে "বোধহয় অমুক, বোধহয় তমুক" টাইপ অনুমানের ওপর ভরসা করতে হবে। আর বাকি সব ভুতুড়ে বাংলা সিনেমার মতো এতেও ভূত অদ্ভুত হাঁটে, অদ্ভুত কথা বলে, অথচ আশেপাশের লোক তাদের সাধারণ মানুষ হিসেবেই ঠাওর করে। কি বোকা! এত্ত গপ্পো হলো তাতে লাভের লাভ এই যে কমলেশ্বরবাবু গল্প বলার জাদুতে অর্পিতা যথেষ্ট ইমপ্রেসড হন এবং ডিরেক্টর সুযোগের অপব্যবহার না করে তাদের প্রেমের সম্পর্ক-এ আবদ্ধ করেন। পাবলিক শুরুর দিকে ঘেটে ঘ হলেও শেষে মাখোমাখো প্রেম দেখে চিপসের প্যাকেট সিটের তলায় গুঁজে বেরিয়ে পড়েন।
গল্প এক্সেকিউশন ঝুলে গেলে যে জিনিসটা সারভাইভাল ফ্যাক্টর হিসেবে বেঁচে থাকে তা হলো, কিছু বাঘা অভিনয়। পরানবাবু, রুদ্রপ্রসাদ বাবু, রাজেশ শর্মা, বিদীপ্তা, পদ্মনাভ সাথে গৌরব আর দামিনী বেণী বসু(আসল নাম জানি না) দুঘন্টা জমিয়ে দিয়েছেন।
শেষে, কিসের উত্তর খুঁজতে ঢুকলাম বা কিসের উত্তর পেলাম সেটাই প্রশ্ন হয়ে রইলো। ছোটমামা গম্ভীর মুখে বলেছিলো,"প্রশ্ন আসবেই"।
P.S.ব্যাগে যা নিয়ে এলাম, আগমবাগীশকে আরো বেশি করে জানার আগ্রহ।
তা প্রশ্ন আসেনি তবে পোস্টার বদলে নতুন পোস্টার এলো,"পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ, উত্তর আসবেই"। ছোটমামা গম্ভীর মুখে বলেছিলো,"তা আসুক, তবে তার আগে আসুক কম্পাস"।
রাজর্ষি দে র নতুন ছবি পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ, উত্তর আসবেই । চলন্ত একটা ট্রেনে যাত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। হঠাৎ অর্পিতাকে কোনও একটা গল্প শোনার জন্য জোরাজুরি কমলেশ্বরবাবুর। আমার বিশ্বাস ফাঁকা কামরা থাকলেও উনি গল্প বলতেন নিশ্চিত। প্রতিবেশী বয়স্কা যাত্রীটি ডায়ালগ ডেলিভারির দায়িত্ব সুন্দর পালন করেছেন। টানা বলে গেছেন। সামনের কারোর কথা শোনার বা বোঝাবার অবকাশ দেননি। এবং বক্তব্য শেষ করেই ধা হয়েছেন। ঠিক আমার এক দিদার মতো। তিনি অবশ্য কানে শোনেন না। যাই হোক, কমলেশ্বরবাবু গল্প শুরু করেন। তিনটি গল্প বলেন। গল্পের মাঝে মাঝে অর্পিতাও থেকে থেকে নিজের জীবনের কথা বলতে থাকেন, তা সে গল্পের সাথে যোগাযোগ থাকুক বা না থাকুক। কমলেশ্বরবাবুর তিনটি গল্পের প্রতিটিতেই ভীষণ রকম তাড়াহুড়ো। প্রথম গল্পটি শেষ হয়ে গেলো বোঝা গেলো যখন দ্বিতীয় গল্প শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় গল্পটিতে এক ভদ্রমহিলা পুরো গল্পটা জুড়েই ছিলেন। "মেয়ে বাড়ি এসেছে" থেকে "মেয়ে পালিয়ে গেছে" বরাবর তার এক অভিব্যক্তি। এ ধরণের চারিত্রিক গুণধারী মানুষের বাস্তবজীবনে আশেপাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি। "জীবন মানেই মায়া" গোছের ভাব আসে, দুঃখ কষ্ট স্পর্শ করে সে সাধ্য কার। এ ছাড়াও দ্বিতীয় গল্পটিতে আবার সেই তাড়াহুড়ো। দুষ্টের দুষ্টামি যত না রসিয়ে কষিয়ে দেখানো হলো, দুষ্টের দমন হলো পাঁচ সেকেন্ডে। কাট টু তৃতীয় গল্প। তৃতীয় গল্পটি আগে থেকে না পড়া থাকলে "বোধহয় অমুক, বোধহয় তমুক" টাইপ অনুমানের ওপর ভরসা করতে হবে। আর বাকি সব ভুতুড়ে বাংলা সিনেমার মতো এতেও ভূত অদ্ভুত হাঁটে, অদ্ভুত কথা বলে, অথচ আশেপাশের লোক তাদের সাধারণ মানুষ হিসেবেই ঠাওর করে। কি বোকা! এত্ত গপ্পো হলো তাতে লাভের লাভ এই যে কমলেশ্বরবাবু গল্প বলার জাদুতে অর্পিতা যথেষ্ট ইমপ্রেসড হন এবং ডিরেক্টর সুযোগের অপব্যবহার না করে তাদের প্রেমের সম্পর্ক-এ আবদ্ধ করেন। পাবলিক শুরুর দিকে ঘেটে ঘ হলেও শেষে মাখোমাখো প্রেম দেখে চিপসের প্যাকেট সিটের তলায় গুঁজে বেরিয়ে পড়েন।
গল্প এক্সেকিউশন ঝুলে গেলে যে জিনিসটা সারভাইভাল ফ্যাক্টর হিসেবে বেঁচে থাকে তা হলো, কিছু বাঘা অভিনয়। পরানবাবু, রুদ্রপ্রসাদ বাবু, রাজেশ শর্মা, বিদীপ্তা, পদ্মনাভ সাথে গৌরব আর দামিনী বেণী বসু(আসল নাম জানি না) দুঘন্টা জমিয়ে দিয়েছেন।
শেষে, কিসের উত্তর খুঁজতে ঢুকলাম বা কিসের উত্তর পেলাম সেটাই প্রশ্ন হয়ে রইলো। ছোটমামা গম্ভীর মুখে বলেছিলো,"প্রশ্ন আসবেই"।
P.S.ব্যাগে যা নিয়ে এলাম, আগমবাগীশকে আরো বেশি করে জানার আগ্রহ।