"জিও কাকা, গুরু দেবের গান, টুনি সাউন্ডটা বাড়া,
শুনি"
দাদু ভাবেন " গুরুদেব, ভগবানের
গান! বাহ, নাতিটির তো বেশ ভক্তি!”
কাকিমা ভাবেন "উত্তমকুমারের গান মনে হয়, কানটা একটু
পাতি",
"ভজ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গ" শোনা গেল নাতির অনুরোধের
গানটি.
কাকিমার হৃদয়ভঙ্গ হল বটে, কিনতু দাদু বলেন উঠলেন “আহা”!
তবে “কলিযুগের কেষ্টরাধা ডিস্কঠেকে করে ডান্স" শুনে দাদু এক্কেবারে হা!
“ছিঃ ছিঃ, ওরে ভগবানকেও ছাড়লি না রে তোরা!”
“আরে কামঅন দাদু, গুরুদেবকে নিয়ে কোন কথা হবেনা!”
“আমরাও সিনেমা-গান শুনেছি বাপু, পৃথ্বীরাজ কাপুর! আঃ কি
জাদু!”
“ধুর! এখন ফাস্ট ডিজিটাল যুগ! প্যানপ্যানানি আজকাল আর চলেনা দাদু!”
একাল-সেকালের চিরকালীন এই বিদিত দ্বন্দ্ব,
আমি তবে কোন দলের, ভাবি আমি, মধ্যবয়স্ক!
পৃথ্বীরাজ কাপুরের মুঘল-এ-আজম অতুলনীয় বটে,
রয়্যাপ, জ্যাজ, ডীস্কোনাচ সমৃদ্ধ ছবি বেশ মজার লাগে.
আধুনিক গল্প-কবিতায় যেমন জাগরণ হয় সমাজসচেনতা.
তেমনি মাইকেল-রবীন্দ্রনাথ না পড়লে আত্মজ্ঞানে ভাটা,
চিঠিতে ছিল প্রতীক্ষার আমোদ, শব্দে শব্দে অনুভূতি.
ইমেল কেমন সুলভ, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, এবং দ্রুতগতি.
প্রযুক্তির উন্নতিতে গোটা পৃথিবী যখন আঙ্গুলের ডগায়,
সাবেকি প্রথা রীতিনীতি প্রাণবন্ত, নস্টালজিয়া হৃদয়ে.
সেকাল পঠিত-অনুভূত, একাল প্রতীয়মান-সমক্ষ,
সেকাল নম্র-আত্মবাদী, একাল দ্বিধাহীন উন্মুক্ত.
একাল যদি সক্রিয়, সেকাল তবে উৎস,
আমি দুয়েতেই, একাল-সেকাল সত্য সত্য সত্য.