"সবার উপরে মানুষ সত্য,
তাহার উপরে নাই"
- য়্যা? কে বললো?
- ইয়ে আমি
- আমি কে?
- আমি ক্রো, ব্রো।
- (ভুঁরু উঁচিয়ে) অ তুমি?
তা আমি কারো ব্রো নই। তবে আপাতত তুমি আমার লেফ্ট আই ব্রোয়ের ওপর থেকে ঠোঁটটা সরাও বাছা।
- উপস সরি। বলছি আপনিই কি
সেই? মানে দি অলমাইটি? দি খ্ৰীষ্ট।
- মমম সেই রকমই তো জানতাম।
তো হঠাৎ এই ভর দুপুরবেলা, আমাকে বাটারিং? কি চাই হে?
- ধুস, কি যে বলেন, খ্ৰীষ্টদা।
একটা প্রশ্ন খুঁজতে খুঁজতে সেই দূর নিকো থেকে ইকোতে এসে হাজির।
- বটে। নিকো আর এমনকি দূর?
ওই তো সেক্টর ফাইভ …
- আরে আমি কি আর ওলা-উবের
করে এসেছি? এর কাঁধে, ওর মাথায় ভর করে, নৌকো চড়ে, সাঁকো বেয়ে তবে না....
- আচ্ছা হয়েছে।, এবার প্রশ্নটা
বলে ফেলো।
- সেরকম কিছু না, তবে আবার
সেরকমই। মানে যার কাছে যেরকম। তো উইদাউট মাচ বকমবকম, প্রশ্নটা হলো,"সবার উপরে
মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই", ইহা কি সত্য?
- বটে। কলকাতার ঘাম চ্যাটচ্যাটে
দুপুরবেলা হিসেবে প্রশ্নটি নিতান্তই বিরক্তিকর। তবে ক্রোয়ের মুখে এরকম প্রশ্ন আগে থ্রো
হতে দেখিনি। তাই আমি যাইপরোনাই আপ্লুত। তা হ্যা কথাটি সত্য হে।
- ও মানে একেবারেই মিথ্যা
করা যায়না? সেই ঈশপের সময় থেকে ছেলেপুলে আমার রেফারেন্স নিয়ে নিয়ে ডাক্তার-ইঞ্জি হয়ে
গেলো। আর আজ এতো ওপরে বসেও আমায় শুনতে হবে সবার ওপরে ওই ওরা?
- দেখো হে, এটাই বলবো তুমি
ভায়া অনেক সেফ।
- সেফ?
- ইয়েস। ওপথে মোটেই পা বাড়িও
না। দেখছো না "সবার ওপরে মানুষ সত্য" শুনে পাবলিক গুলোর হাল কি হয়েছে? খেলা
শুরু করেছে নিজেদের মধ্যে। কে সত্য, কে ওপরে, সেই নিয়ে লাঠালাঠি শুরু করেছে। ওই ওই
দেখো সমস্ত রকম অস্ত্র নিয়ে নেমে পড়েছে। সাহিত্য? লালিত্য? বাচস্পত্য? পাণ্ডিত্য? সব
নিয়ে। তার চেয়ে বরং এই ওপর থেকে সেফ খেলা দেখে যাও ভায়া।
- ওরে ব্বাবা। তাই তো। আপনার
ওপর এই এদের দ্বায়িত্ব ভেবে আমার নিজেকে বেশ ফ্রি বার্ড লাগছে। মানে সেটাই ছিলাম। আরও
ফুরফুরে লাগছে। এখন মনটা বেশ হালকা লাগছে। বেশ একটা উপলব্ধি হচ্ছে।
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার
ওপর নাই,
আর
বেশ উঁচু স্ট্যাচু পেলে,
আমি টপ ভিউটা পাই।