আগের দিন যে চঞ্চল হাত গুলো "বাড়িয়ে দাও তোমার হাত আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চাই" জানিয়েছিল, আজ তারা অদৃশ্য। অদ্ভুত তো!
"রাখী" তে কেউ "গুলজার" হচ্ছে না।
"রাখী" শুনলেই কেউ "পল পল দিল কে পাশ" ধর্মেন্দ্র হচ্ছে না।
উল্টে ছেলেগুলো সব ভাইরাস-এর মতো একেবারে নিকেশ হচ্ছে।
"রাখী" তে কেউ "গুলজার" হচ্ছে না।
"রাখী" শুনলেই কেউ "পল পল দিল কে পাশ" ধর্মেন্দ্র হচ্ছে না।
উল্টে ছেলেগুলো সব ভাইরাস-এর মতো একেবারে নিকেশ হচ্ছে।
জন্মমাত্রই যদিও "রাখী" এন্টিভাইরাস-সম! ওই যে সংস্কৃত-তে রাখী শব্দের অর্থ "বন্ড অফ প্রটেকশন"। তাই .....
তা সে তো দুশমন-দমনে। শিষ্ট-দের ভয় কিসের? তারা পালাচ্ছে কেন?
তা সে তো দুশমন-দমনে। শিষ্ট-দের ভয় কিসের? তারা পালাচ্ছে কেন?
ইতিহাস অনুযায়ী "রাখী" যত্রতত্র সুবিধা অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়েছে। এই যেমন ধরুন যুদ্ধ বাঁধলো রাজা-স্বামীর সাথে অন্য রাজার। স্ত্রী টিং টিং টি টিং করে বুদ্ধি বাতলে ফটাং পাঠিয়ে দিলেন "রাখী", ব্যাস বরফ গলে জল। (কে বলে, বাঙালিরাই শুধু ইমোশনাল। শুধু নিজেদের ভাও বাড়ালে হবে, হে বাঙালি?)। তা সেসব তো সব ওই উত্তরভারতে। পূর্ব-পুরুষদের ওসব কান্ড দেখে তারা আজকাল জোরকদমে "ভাইয়া-মেরে রাখী কে বন্ধন কো নিভানা"। বেশ কথা।
কিন্তু দি গ্রেট বেঙ্গলে যারা রবি-ঠাকুর বলতেই মূর্ছা যান, তারাও কি করে তালে বেতাল হয়ে পড়েন শুনি? যেখানে রবিগুরু হিন্দু-মুসলিম বন্ড-এর উদ্দেশ্যে রাখী-বন্ধন উদযাপন করছিলেন, সেখানে? অবশ্য যতই তিনি করে থাকুক না কেন, তা তখনই বিভাজন রুখতে পারেনি। আর আজ তিনি যখন শুধুই বাঙালির বসার ঘরের "টেগোর" হয়ে আছেন, তখন আর .... উহু কোনো শক্ত শক্ত কথা নয়। সোমবার এমনি বড়ো একগুঁয়ে। তাই আল্টিমেটলি "রাখী" একটা বন্ড। জেমস বন্ড। মজবুত জোর। টুটেগা নাহি।
অতঃপর ছেলে-মেয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই রাখী কিনুন, রাখী পড়ান। শুধু ভাই-বোন কেন? আজ ওই রিক্সা-চালককে রাখী পড়ান না কেন? পাশের বাড়ির ঠাম্মাকে রাখী পড়ান না কেন? বয়-ফ্রেন্ড, গার্ল-ফ্রেন্ডকেও পড়ান। বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে কেও পড়ান।
শর্ত একটাই।
কব্জির এপাশ ঘুরিয়ে সুতো ওপাশে নিয়ে যাবার সময়, জোরে জোরে বলুন, "ভালো থেকো, শুভ হোক"।
#রাখীবন্ধন #রাখী
শর্ত একটাই।
কব্জির এপাশ ঘুরিয়ে সুতো ওপাশে নিয়ে যাবার সময়, জোরে জোরে বলুন, "ভালো থেকো, শুভ হোক"।
#রাখীবন্ধন #রাখী
No comments:
Post a Comment