"টিক টিক টিক টিক"
ব্যাস ওই আবার। এখন আবার কি? এই এখুনি তো লাঞ্চ খাইয়ে এলাম। ওহো এবার বোধহয় ওনার পটি টাইম। উফফ এটা একটা লাইফ? সারাদিন শুধু "টিক টিক টিক টিক"। এই চা দাও, এই ব্রেকফাস্ট দাও, এই শাড়ি চেঞ্জ করাও। আর পটি করানো তো যুদ্ধ। সারাদিন খেয়ে খেয়ে আর বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোটা হচ্ছে আর শুধু "টিক টিক টিক টিক"। রোমা বলে, শাশুড়ীরা নাকি খুব ভয়ঙ্কর হয়। তারা নাকি ঝগড়া করে, তারা নাকি বৌয়ের নিন্দে করে প্রতিবেশীর কাছে! আমার প্যারালাইস্ড শাশুড়ী, তাই আমি নাকি ভালোই আছি। প্রতিবেশীর কাছে আমার নাম নিন্দে করতে পারেনা। কথা বলতে পারেনা তাই ঝগড়াও নেই। তা আমি বলি, ওসব হলেই বরং বেঁচে যেতাম। কানের কাছে সারাদিন প্রতি ঘন্টাতে "টিক টিক টিক টিক" তো আর শুনতে হতো না। কোনো শখ-আহ্লাদ-ঘুরতে যাওয়া-সিনেমা যাওয়া তো নেই জীবনে। রোমার সাথেও যে দশমিনিট কথা বলবো তার জো নেই। শুরু হবে "টিক টিক টিক টিক"। সেদিন তো "জননীর কোলে" সিরিয়ালের ঠিক ক্লাইমেক্সের টাইমেই "টিক টিক টিক টিক"। ও বলে, পঁচাশি বছরের ওর মা, তাকে নাকি আর আয়ার ভরসাতে রাখা যায় না, বয়স্কদের ওপর নাকি খালি হামলার খবর পেপারে। তাও তো খুব জোড় করে একজন আয়া রাখা হলো। ওই পনেরদিন মতো টিকেছিল। সারাদিন "টিক টিক টিক টিক" এর জ্বালায় আর রোজ মাঝরাতে আঠারোবার উঠতে গিয়ে সে আয়ার নিজেরই নাকি এখন বাড়িতে আয়ার সেবার দরকার হয়ে পড়েছে।
সারাদিন সমস্ত বাড়ির খেয়াল রেখে তারপর রাতে ওই "টিক টিক টিক টিক" আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। এখন আর কিছু না শুধু একটু ভালো করে ঘুমোতে চাই। কতদিন যে ভালো করে ঘুম টুকু হয়নি!
ওই আবার। "টিক টিক টিক টিক"।
"দাঁড়াও দাঁড়াও, আমাকে বাথরুম থেকে তো বেরুতে দাও উফফফফ"
মাঝে মাঝে মনে হয় ওই যে স্কেলটা দিয়ে খাটের ধারে "টিক টিক টিক টিক" করে, সেটা দিয়েই মাথাতে .....
============================================================================
- কি হলো, উঠে পড়লে কেন?
- না ওই যে মা বোধহয় ....
- মা? পর্ণা তুমি আমার মা কে এতো ভালোবাসতে? উনি চলে যাওয়ার পরেও .....
- ও হ্যা। রোজ রাতে কি যে হয়। কিন্তু আজ যেন ..... যাক ঘুমিয়ে পড়ো। আমিও ..... এই ওটা কিসের আওয়াজ। শোনো, শুনতে পাচ্ছো। শোনো
- কোথায় পর্ণা কিচ্ছু তো নয়। তোমার মনের ভুল। শুয়ে পড়ো।
- উফফফফ ভালো করে শোনো। শোনো না। আরে এইটা স্কেলের তোবড়ানো দিকটার আওয়াজ। আমি জানবো না? এই ছ'বছর ধরে শুনছি .....
- পর্ণা .....
ব্যাস ওই আবার। এখন আবার কি? এই এখুনি তো লাঞ্চ খাইয়ে এলাম। ওহো এবার বোধহয় ওনার পটি টাইম। উফফ এটা একটা লাইফ? সারাদিন শুধু "টিক টিক টিক টিক"। এই চা দাও, এই ব্রেকফাস্ট দাও, এই শাড়ি চেঞ্জ করাও। আর পটি করানো তো যুদ্ধ। সারাদিন খেয়ে খেয়ে আর বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোটা হচ্ছে আর শুধু "টিক টিক টিক টিক"। রোমা বলে, শাশুড়ীরা নাকি খুব ভয়ঙ্কর হয়। তারা নাকি ঝগড়া করে, তারা নাকি বৌয়ের নিন্দে করে প্রতিবেশীর কাছে! আমার প্যারালাইস্ড শাশুড়ী, তাই আমি নাকি ভালোই আছি। প্রতিবেশীর কাছে আমার নাম নিন্দে করতে পারেনা। কথা বলতে পারেনা তাই ঝগড়াও নেই। তা আমি বলি, ওসব হলেই বরং বেঁচে যেতাম। কানের কাছে সারাদিন প্রতি ঘন্টাতে "টিক টিক টিক টিক" তো আর শুনতে হতো না। কোনো শখ-আহ্লাদ-ঘুরতে যাওয়া-সিনেমা যাওয়া তো নেই জীবনে। রোমার সাথেও যে দশমিনিট কথা বলবো তার জো নেই। শুরু হবে "টিক টিক টিক টিক"। সেদিন তো "জননীর কোলে" সিরিয়ালের ঠিক ক্লাইমেক্সের টাইমেই "টিক টিক টিক টিক"। ও বলে, পঁচাশি বছরের ওর মা, তাকে নাকি আর আয়ার ভরসাতে রাখা যায় না, বয়স্কদের ওপর নাকি খালি হামলার খবর পেপারে। তাও তো খুব জোড় করে একজন আয়া রাখা হলো। ওই পনেরদিন মতো টিকেছিল। সারাদিন "টিক টিক টিক টিক" এর জ্বালায় আর রোজ মাঝরাতে আঠারোবার উঠতে গিয়ে সে আয়ার নিজেরই নাকি এখন বাড়িতে আয়ার সেবার দরকার হয়ে পড়েছে।
সারাদিন সমস্ত বাড়ির খেয়াল রেখে তারপর রাতে ওই "টিক টিক টিক টিক" আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। এখন আর কিছু না শুধু একটু ভালো করে ঘুমোতে চাই। কতদিন যে ভালো করে ঘুম টুকু হয়নি!
ওই আবার। "টিক টিক টিক টিক"।
"দাঁড়াও দাঁড়াও, আমাকে বাথরুম থেকে তো বেরুতে দাও উফফফফ"
মাঝে মাঝে মনে হয় ওই যে স্কেলটা দিয়ে খাটের ধারে "টিক টিক টিক টিক" করে, সেটা দিয়েই মাথাতে .....
============================================================================
- কি হলো, উঠে পড়লে কেন?
- না ওই যে মা বোধহয় ....
- মা? পর্ণা তুমি আমার মা কে এতো ভালোবাসতে? উনি চলে যাওয়ার পরেও .....
- ও হ্যা। রোজ রাতে কি যে হয়। কিন্তু আজ যেন ..... যাক ঘুমিয়ে পড়ো। আমিও ..... এই ওটা কিসের আওয়াজ। শোনো, শুনতে পাচ্ছো। শোনো
- কোথায় পর্ণা কিচ্ছু তো নয়। তোমার মনের ভুল। শুয়ে পড়ো।
- উফফফফ ভালো করে শোনো। শোনো না। আরে এইটা স্কেলের তোবড়ানো দিকটার আওয়াজ। আমি জানবো না? এই ছ'বছর ধরে শুনছি .....
- পর্ণা .....
No comments:
Post a Comment