পরিস্থিতি হেবি থমথমে। জেঠুর
মুখে কালি লেপে শ্রাবন্তীদি নাকি পালিয়েছে। কালি মুছতে সারা পাড়া উইথ পাড়ার ডাক্তার
বাড়িতে হাজির। আমি আর দাদা স্কুল থেকে ফিরে খবর পেয়েই দৌড়ে কালি মোছা দেখতে গেলাম।
কালি কোথায়! জেঠুর দিব্বি সেই ফর্সাটি। শুধু খাটে হেলান দেওয়া আর বুকে হাত। পাড়ার ডাক্তার
বলছেন,"কালই ইসিজি করিয়ে নিন। কোনো নেশা নেই তো? এখনকার ব্যাথাটা আপনার স্ট্রেস
থেকেই। বেশি চাপ নেবেন না" চারিদিকে সবার মুখ কালাপানির কয়েদিদের মতো। নিস্তব্ধতার
কম্পেটিশন -এ পাড়ার দিদা-দাদুরা মাঝে মাঝে বাঁধ সাধলেও, মোটের ওপর একটা থমথমে ভাব ইন্ট্যাক্ট
রাখতে সক্ষম হচ্ছেন সবাই। মাঝে মাঝে চপাট চপাট মশা মারার আওয়াজ। শ্রাবন্তীদির পালানো
তবু সহ্য হবে, কিন্তু ভয়ানক ডেঙ্গি? সে থেকে
কে বাঁচাবে? কুঁইকুঁই করে জেঠু বলে উঠলেন,"কাছুয়া টা জ্বালাও না"
উপস্থিত সকলেই ঝটপট শশব্যস্ত
হয়ে কাছুয়া খুঁজতে লাগলেন। পেলেনও। মুশকিল হলো, দেশলাই? নাই। জেঠিমার মুখ-এর পরিস্থিতি
যা, তাতে বিনা দেশলাই-তেই আগুন লাগার সম্ভাবনা। তাই জেঠিমাকে কেউ ঘাটাতে চায় না। ঠিক
এ অবস্থায়, দাদা বলে উঠল,"আরে দাদু, লাইটার তো তোমার পকেটেই"।
সবার মুখ এখন দাদার দিকে।
ঠিক তখনি, কার মোবাইলে বেজে উঠলো,"আগুন লেগেছে লেগেছে লেগেছে আগুন তুম তানা নানা
নানা"
No comments:
Post a Comment