লক্ষ্মীপুজো এলেই আবীর কোমরবেঁধে পুজোর জোগাড়ে লেগে যায়। মা-বাবা-বৌ খুশিই হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের মধ্যে হালকা আধ্যাত্মিক পাঞ্চ থাকলে বাড়ির লোকজন ভরসা পায়। আবীর পুজোর বাজার করে, ঘরের ঝুল ঝাড়ে, লক্ষ্মীঠাকুর ফুল দিয়ে সাজায়, ঘরের ডেকোরেশন করে, মা-বৌ লক্ষ্মীর পা আঁকলে কোমরে হাত দিয়ে রিভিউ করে, আল্পনার ডিসাইন গুগল খুঁজে জোগাড় করে। দেখেশুনে আত্মীয়স্বজন "কি ভালো কি ভালো" বলে। বন্ধুরা হাসে, বলে, কি মেয়েদের মতো ....... । মা গর্বভরে ছেলের মাথায় হাত বোলান। বাবা কিন্তু প্রত্যেকবারের মতোই বিরক্ত।
- আবু, তুই এবার নাড়ু এনেছিস না আবার ভুলেছিস? আবু? আবীর? শুনতে পেলি?
- বাবা, পরের বছর পাক্কা।
- আবু, প্রত্যেকবার তোর এই এক কথা ......
মা ছেলের মাথায় হাত বোলান। ছেলের সাথে নাড়ুর কি যে এতো রাগ! ভুলে যাওয়ার ছেলে যে আবু নয়, তা মা জানেন। বৌ রিয়া জানে আজ আবীর ছাতে কাটাবে অনেকরাত অবধি। কারণ জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যায়। জোর করবে এ স্বভাব রিয়ার নেই।
- তুই আবার কাঁদছিস
- কোথায় কাঁদছি?
- আমার সাথে নাটক করিস না। তোর মা-বাবা যে কি, এতোবছরেও তোকে সামলাতে পারলো না।
- সামলানোর কি আছে ? আমি কি বাচ্চা নাকি?
- আচ্ছা, তাহলে এবারেও দোকানে নাড়ু এদিক-ওদিক নাড়িয়ে কিনলি না কেন?
- উফফ, তুমি আবার ......
- কি আবার? বল বল। চুপ করলি কেন বল।
- ও দোকানদার বাজে কোয়ালিটির নাড়ু গছাচ্ছিল, তাই ......
- আচ্ছা, অন্য সব দোকানেই বাজে নাড়ু? আবুদাদুভাই, নাড়ুর গন্ধে তুমি আমাকে খোঁজো, তা কি আমার বুঝতে বাকি আছে। তাই না? দাদুভাই? আরে আরে ওই দেখো ছেলের চোখ অমনি ছল্ছলিয়ে ..... কি মুশকিল .......
- ঠাম্মা, প্যাকেটের নাড়ুতে তোমার শাড়ির গন্ধ খুঁজি, নেই যে ...... এই ছায়াতে বসে তোমার ঘিয়ে মাখা তেলতেলে হাত আমার কপালে চাই সেই আগের মতো, আর পাই না ..... তোমার নরম কোলে মাথা রেখে লালকমলের গল্প শুনতে চাই, শুনি না তো আজকাল ...... ব্যাঙ্গমাদের কথা শুনে আমার হাসি পেলে, চোখ বড়ো করে বিশ্বাস করাও না তো আজকাল ...... পাঁচালি পড়ার সুরটা তোমার মতো কারোর নয়, কেনো বলো? ...... ঠাম্মা, কেন ছায়া হয়ে আছো ঠাম্মা? ঠাম্মা তুমি ফিরে এসো .......
- আবু, তুই এবার নাড়ু এনেছিস না আবার ভুলেছিস? আবু? আবীর? শুনতে পেলি?
- বাবা, পরের বছর পাক্কা।
- আবু, প্রত্যেকবার তোর এই এক কথা ......
মা ছেলের মাথায় হাত বোলান। ছেলের সাথে নাড়ুর কি যে এতো রাগ! ভুলে যাওয়ার ছেলে যে আবু নয়, তা মা জানেন। বৌ রিয়া জানে আজ আবীর ছাতে কাটাবে অনেকরাত অবধি। কারণ জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যায়। জোর করবে এ স্বভাব রিয়ার নেই।
- তুই আবার কাঁদছিস
- কোথায় কাঁদছি?
- আমার সাথে নাটক করিস না। তোর মা-বাবা যে কি, এতোবছরেও তোকে সামলাতে পারলো না।
- সামলানোর কি আছে ? আমি কি বাচ্চা নাকি?
- আচ্ছা, তাহলে এবারেও দোকানে নাড়ু এদিক-ওদিক নাড়িয়ে কিনলি না কেন?
- উফফ, তুমি আবার ......
- কি আবার? বল বল। চুপ করলি কেন বল।
- ও দোকানদার বাজে কোয়ালিটির নাড়ু গছাচ্ছিল, তাই ......
- আচ্ছা, অন্য সব দোকানেই বাজে নাড়ু? আবুদাদুভাই, নাড়ুর গন্ধে তুমি আমাকে খোঁজো, তা কি আমার বুঝতে বাকি আছে। তাই না? দাদুভাই? আরে আরে ওই দেখো ছেলের চোখ অমনি ছল্ছলিয়ে ..... কি মুশকিল .......
- ঠাম্মা, প্যাকেটের নাড়ুতে তোমার শাড়ির গন্ধ খুঁজি, নেই যে ...... এই ছায়াতে বসে তোমার ঘিয়ে মাখা তেলতেলে হাত আমার কপালে চাই সেই আগের মতো, আর পাই না ..... তোমার নরম কোলে মাথা রেখে লালকমলের গল্প শুনতে চাই, শুনি না তো আজকাল ...... ব্যাঙ্গমাদের কথা শুনে আমার হাসি পেলে, চোখ বড়ো করে বিশ্বাস করাও না তো আজকাল ...... পাঁচালি পড়ার সুরটা তোমার মতো কারোর নয়, কেনো বলো? ...... ঠাম্মা, কেন ছায়া হয়ে আছো ঠাম্মা? ঠাম্মা তুমি ফিরে এসো .......
No comments:
Post a Comment