"ওরা"
কথা বলতে বলতে হাঁটা দেয় অন্যদিকে।
ইচ্ছে হলেই কথা শুরু করে দেয় যার-তার সাথে। যে কোনো টপিক। যা হোক ভাষা।
যেটাতে প্রতিরোধ পায়, সেটাতেই আগ্রহ জন্মায়।
সামনে আলুভাজা দেখলেই ঝাঁপিয়ে পরে। সে প্লেট-হাত পরিচিত হোক বা একেবারেই অজ্ঞাত। খিদে পেলেই গপাগপ।
"কি-কি-খেতে-নেই" সে লিস্টটা তাদের ডাটাবেসে নেই। পটাপট ব্যাঙ-টিকটিকি-আরশোলা ধরে কে-এফ-সি-র বার্গার ভেবে ফেলে।
কখন এক পাত্র জলে হাত ঝাপ্টে মজা। কখন সেই জল দেখেই কান্না।
কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ উল্টে পরে সবার সামনে, হঠাৎ পাল্টি খায়।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো, জামা-কাপড় ছাড়াই বেরিয়ে পরে রাস্তায়। প্রতিবেশী কাকিমার ভাষায় "একটা সুতো অব্দি নেই গায়ে"। (একটা সুতো থাকলেই কি তফাৎ কিছু হতো?)
"ওরা" মঙ্গোলিয়ার আদিবাসীরা।
"ওরা" কলকাতার রাস্তাতেও ঘোরে। আপনারা ওদের পাগল বলেন।
"ওরা" আপনার বাড়িতেও আছে। আপনারা ওদের শিশু বলেন।
মানে বুঝতেই পারছেন হে হে আপনি নিজেও এরকমই ছিলেন, ওই যখন সবে সবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন আপনি, তখন।
তারপর যা হয় আর কি। সুশীল-সমাজ -এর রাজ্যে যারা বন্দী, তারা মানে আপনারা সুশীল-সমাজ -এর শিক্ষা-দীক্ষায় (চাপে) ওদের থেকে অন্যরকম হয়ে ওঠেন।
কষ্ট হচ্ছে?
কি আর করবেন বলুন।
যাহোক তাহোক করার ভাগ্য কি সবার থাকে মশাই।
বন্দীদশা তেই তো দিব্বি এডজাস্ট হয়ে গেছেন মশাই। "এডজাস্ট" মহামন্ত্র। জপতে থাকুন।
No comments:
Post a Comment