আজকালকার বড়দিনের মেটামরফোসিসে, সান্তা আছে, পান্তাও আছে, পাবলিক সবজান্তাও আছে।
প্লাষ্টিক-ফুল-শিরসজ্জিতা এঞ্জেল থিকথিক।
যদুবাবুর বাজারে ইস্পেশাল ট্রাফি-কেক।
সুমন-অঞ্জন এক ছাদের তলায়। একজন একে। অন্য দোতলায়।
মোমোর গন্ধে ম-ম এক্সাইড।
ফুচকা আর এগরোল যথারীতি ফুড বিলবোর্ডের তালিকার টপে।
আলু আর ডিম হলো বাংলার "আপনি থাকছেন স্যার" রজতাভ দত্ত। সবেতেই আছেন।
আঙ্গুল উঁচিয়ে "ট্রাফিক রুল, তুমি ভুল" বলে সদর্পে লালবাতিতেই এগিয়ে যায় হাতে হাত ধরা সদ্য প্রেমে পড়া ম্যাংগো-জনতা।
সাউথ কলকাতা চকমক।
বাস নেই, ট্যাক্সি নেই।
মেট্রো বাঙালি-ওষুধ-বাক্সের চেয়েও ওভারলোডেড।
ওলা-উবের ধনকুবের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই স্মাইলিং। কেউ দুঃখী নেই এ তল্লাটে। একমাত্র আবশ্যিক হলো কেক, অন্য সবকিছু চূড়ান্ত ফেক। সবকিছুই। কিছুদিন আগে অব্দি বড়দিন বলতে চিড়িয়াখানা, একাডেমি, জাদুঘর, নিকোপার্ক ছিল। লম্বা লাইন দেখা যেত দূরদূরান্ত থেকে। এখন পার্কস্ট্রিট আর বো-ব্যারাক্স । দুর্গাপুজোর মতো দলে দলে সবাই চলে। কিসের দিকে এগোচ্ছে কেউ জানে না । হয়ত কিছু বছর পরে প্যান্ডেল হবে। যীশু-সান্টা মঞ্চে বসবেন। প্যান্ডেলের থিম হবে। উৎসব ২৫ থেকে ৩১ অব্দি চলবে। মন্দ কী! মানুষ নতুন নতুন জামা পড়বে, ছবি তুলবে , সবাইকে দ্যাখাবে। কেউ কারোরটা দেখবে না। সব সবাই নিজের জন্যই করে যাবে। একটা ঘোরের মধ্যে জীবন কাটবে। নো সমস্যা, নো ক্রিয়েটিভিটি, নো বুদ্ধিমত্তা , নো প্রশ্ন।
পূর্ণিমার চাঁদটা বড়ো ভালো, সাথে সাথে থাকে।
(২৬ ডিসেম্বর ২০১৮)
No comments:
Post a Comment