বইপুজো শুনেছেন? শীত বাই বাই বলার আগেই হৈ হৈ করে বইমেলা, সেই তো বইপুজো।
ওয়ানাবি গোছের বাঙালিদল এশুনে ঠোঁট উল্টে বলবে,'ধুস,আজকাল ইবুক এর যুগে বইমেলা, ওসব সিম্পলি চলে না'.
নাকউঁচু বাঙালিদল বলবে,"বাওয়া, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল আছে 'কিকত্তে' গুরু! অত ঠেঙিয়ে মিলনমেলা!! বস, মিলন, ফেসবুকেই বেশ জমে".
এদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, বিশ্বাস করুন এখনও লোকে বইমেলা যায়। নিশ্চয় যায়। আর এবং তাদের মধ্যে আজকাল এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য নজরে পড়েছে, তাদের জন্য বই আর মেলা নেই, পুজো হয়েছে। এ দল ঘোরে-ফেরে, সেলফি তোলে, এগরোল-পাটিসাপ্টা খায় কিন্তু বই কেনে না। তারা দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের মতো স্টলে স্টলে ঘোরে, কিছু বই নাড়ানাড়ি করে (প্রণাম করে) বেরিয়ে পড়ে। আবার থিমের পুজো-প্যান্ডেলের মতো বেশ অন্যআঙ্গিকের স্টলগুলোর ভিতরের থেকে বাইরে সময় কাটান বেশি। ফেসবুকে পোস্ট করলে ওগুলোর বোধয় মর্যাদাক্রম (লাইকের চান্স) একটু বেশি। আর বইএর ভিড়ে বাই চান্স যদি একটু টিভি-সিরিয়াল-মুখ দেখা যায়, কেল্লা ফতে।
যাক তবু এভাবেও বছর বছর বই আসুক মেলা রূপে বা পুজো রূপে।
২৯ জানুয়ারি ২০১৭
সাত বছর পরে, বইমেলা ২০২৪শে, বই বেচাকেনার প্রয়োজন তেমন দেখা গেল না। সেই দিকটা প্রায় হতাশাজনক মেনে নিয়ে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তায় মনোযোগ বেশি দেখা গেল।
নিজবৃত্তে বইয়ের সাফল্য জানানোর অভিনব কৌশল কয়েকটি লক্ষ্যণীয়:
১. বই বইমেলায় তাকে/টেবিলে থাকবে, নিশ্চিত জানা মাত্রই হাতের লেখা বিশেষত সই প্রাক্টিস করছেন, আয়নায় সেল্ফি তোলারও
২. বইমেলা গিয়ে লাইক-বৃত্তের লেখক বা লেখিকার বই কিনছেন না, শুধু বইয়ের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে বলছেন, ' এলাম, নিলাম '
৩. বন্ধুবান্ধবকে মেলায় পেলেই, হাতে বই ধরিয়ে ছবি তুলে নিচ্ছেন, ফেসবুকে দ্রুত আপলোড
২৯ জানুয়ারি ২০২৪
No comments:
Post a Comment