বরুণা "পাটকেল ফর ইট" আর "ট্যাট ফর টিট"-এ ততটাই বিশ্বাসী, যতটা অঞ্জন দত্তর বিশ্বাস বব ডিলানে আর কাঞ্চনজঙ্ঘাতে।
দেবলীনা স্কুলের টিফিনে দেখিয়ে দেখিয়ে, অপমান করে, ডিম ভাজা খেয়েছিল বলে পরের দিন কাঁচা ডিম লুকিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে এলো দেবলীনার ব্যাগে।
সুনিত সবাইকে গান শোনালো, শুধু বরুণাকে ডাকল না। বরুণা পিয়ানো শিখে ফেলল। নিজের জন্মদিনে সবাইকে ডাকলো, সুনিতকে বাদ দিয়ে।
পাড়ার কাকু ডেয়ারী মিল্ক দেবে বলে কোলে বসিয়ে কাতুকুতু দিচ্ছিল। বারণ শুনছিল না, কোল থেকে নামাচ্ছিল না। বরুণা কম্পাসটাই গেঁথে দিল কাকুর পায়ে।
সন্ধ্যে আটটাই তো হয়েছিল বাড়ি ফিরতে। তাতেই পিসি বাবাকে এমন নালিশ করলো। বাবার বকাবকি শেষ হতেই, ভাঙা টবটা পুরোটা ভেঙে পিসির বিছানাতে চাদরের মতো সুন্দর করে বিছিয়ে দিয়ে এলো।
তাই রোমিকেই আর ছেড়ে দেওয়া কেন!
এতদিনের প্রেম এমনি অমনি কিছু না বলে নষ্ট করা যায় নাকি! তাই ব্লেড দিয়ে হাত কাটা। অবশ্য তার আগে সুইসাইড নোটে লিখেছে,"আমার মৃত্যুর জন্য আমার মনের ভিতরের যুদ্ধ দায়ী" ...
(১৬-জানুয়ারি-২০১৮)
No comments:
Post a Comment