নিন্দুকেরা বলে পশ্চিমি দেশগুলো নাকি শরীর সর্বস্ব। ভালোবাসা নাকি ততদিন, যতদিন শরীরের টান। নিদেনপক্ষে মনের টান থাকলেও নাকি তার মেয়াদ স্কুলের গরমকালের ছুটির থেকে কিছুমাত্র বেশি নয়। আমাদের সহমরণের দেশের সাথে নাকি তাদের তুলনায় চলে না। লম্বাটে সুদীর্ঘ প্রসারিত জীবৎকালব্যাপী দুটি মানুষের একসাথে কাটানোর গল্প, তা সে যতই লাথি-ঝ্যাটা খাওয়াই হোক না কেন তাকেই তো আমাদের দেশ "আহা কি ভালোবাসা দ্যাখো" বলে হা হা করে। কিন্তু ভালোবাসাকে শুধুই কি লম্বাতে মাপা যায়? বরং চওড়াতেই তো তার কদর একান্তই বেশি বলে মনে হয়। আর তাই যদি হয়, পশ্চিমি দেশ আমাদের থেকে ভালোবাসাকে যে কিছু কম বোঝে না, তা বলাই বাহুল্য। আমাদের দেশে রবি থেকে চন্দ্র (বিন্দু) নানাভাবে প্রেম-ভালোবাসাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। রবি ঠাকুর প্রেমকে জিজ্ঞেস করেছেন, "ওই যে যারা দিনরাত্রি, অলো-হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, গ্রহ তারা রবি, তুমি কি তাদেরি মতো সত্য নও", "সুদূর নীহারিকা" র সাথে তুলনা করেছেন, যত্নে, সামলে।চন্দ্রবিন্দু "নায়াগ্রা" দেখিয়েছে, প্রেমিকাকে "তুমি লোড শেডিংএ চাঁদের আলোর সর, তুমি জ্বরের শেষে সূর্য ধোয়া ঘর" বলেছেন।
রবি ঠাকুরের শব্দে হারিয়েছি। চন্দ্রবিন্দুর শব্দে ধেড়িয়েছি।
আর যখন শুনি ম্যাথিউ মোল বলছেন,"তুমি ক্ষুদ্র জলাশয়, কর্দমাক্ত খোঁয়াড়-এর ন্যায় আমার জীবনে", আমি অবাক হয়েছি। এই লাইন যখন গান হয়ে এসেছে, স্মুথ এন্ড সুথ মিউজিকে, একবার একবার করে বারবার শুনেছি।
ইউটুবে একেবারেই বাকিদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া ম্যাথিউ মোল-এর ফোক গান শোনবার অনুরোধ রইলো।
১১ এপ্রিল ২০১৯
No comments:
Post a Comment