- দিন কাগজটা এদিকে দিন। এটা পেলেন কোথায়?
- বালিশের পাশে। এতে যে শব্দ গুলো আছে, এরা আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় ......
- ও। তা কে দিলো এটা আপনাকে?
- ওই সেইটাই ঠিক মনে করতে পারিনা! উফ খুব কষ্ট হয় মনে করতে .....
- ঠিক আছে, ঠিক আছে, দেখি কি লেখা আছে, সাংসারিক আলাপ?
- ওই আর কি, আল্টিমেটলি অন্যের ছেলে মার্ক্স কম পেলো কিনা সেইটাই লক্ষ্য আর তাতেই মোক্ষ।
- খাতির?
- শুধু যদি ব্যাকগ্রাউন্ড সলিড থাকে। ভালো কানেকশন বা টাকা। অন্ততপক্ষে ভালো বংশ। নাহলে কে তুমি বাবা শান্তিগোপাল?
- ডাঙ্গুলি লাঞ্ছিত ছেলেবেলা?
- জানি জানি, প্রতিদিন দুপুরে আমার অপেক্ষা করেছে। প্রতারণাটা আমিই করেছিলাম। ইঁদুর দৌড়ের নেশার কাছে সব তুচ্ছ মনে হতো। তবু সেতো ছেলেবেলা।
- ড্রেনমগ্ন শব যার পিঠে সতেজ উদ্ভিদের মতো ফুটে রয়েছে অমোঘ একটা ছুরি?
- এ থেকে রেহাই নেই। নোংরা-পঁচা গন্ধটা অনেকদিন থেকেই একটু একটু করে বেড়েছে। আমি বলেছিলাম বুল্টিকে, মাধবীকে, চয়নকে, সান্টুকে, কোকিলকে, পলাশগাছটাকে, সাক্সফোনটাকে, গানের সুরগুলোকে, সকালকে মানে প্রায় সকলকে। কেউ গন্ধ পেতো না। তারপর যখন ছুরিটা দেখা যেতে থাকলো, সবাই যন্ত্রনাটা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করলো, তখন গন্ধটাও টের পাচ্ছিলো। কিন্তু উপায় কি? এভাবেই চলতে হবে। সবাই জখম। ওষুধ কোথায়? শুধু রাতে একটু হাত বোলানোতে কি প্রচন্ড শান্তি।
- আকাশচারী কেরানি?
- ওহ।
- কি হলো?
- এভরি ক্লাউড হ্যাস এ সিলভার লাইন, ডাক্তারবাবু। শনিবার রাতে ফ্লাইং শসারটা নামে যখন ছাতের ওপর। ডাঙ্গুলি টাকে সাথে নি। বুকটা এমন ঢিপঢিপ করে যতক্ষণ না আসে। ঠিক আসে নিয়মাফিক। উঠে যাই ওতে আর .... মহীনের ঘোড়াগুলি টেনে নিয়ে যায় ফ্লাইং শসারটাকে। কি হলো ডাক্তারবাবু চললেন কোথায়?
- আসছি একটা ফোন করে। (ঘর থেকে বেরিয়ে) হমমম আপনার বন্ধুর মেন্টাল ডিসর্ডারটাই ..... বুঝলেন। একটু চিকিৎসার দরকার আছে। আজ এডমিট করে যান ..... ওই দেখুন উনি চেঁচাচ্ছেন। কন্ফার্ম করুন। আমি বলে দেব টীম এখুনি ওনার ট্রিটমেন্ট শুরু করে দেবে।
- (ঘরের ভিতর থেকে) ও ডাক্তারবাবু ..... আরে ও ডাক্তারবাবু .........
আমরা যাইনি ম’রে আজো -তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়,
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে। .....
(নিচের ছবিটি ১৯৭৮ সালের মহীনের ঘোড়াগুলি বাংলা ব্যান্ডের দ্বিতীয় অ্যালবামের (অজানা উড়ন্ত বস্তু বা আ-উ-ব)।ভারতের সর্বপ্রথম রকব্যান্ড।)
No comments:
Post a Comment