কার চোখ, কার দিকে, কখন, কিভাবে, কোথায় এবং কোথায় সুরুৎ করে আটকে যায়, তা কে বলতে পারে!
রাস্তায় চলছেন ফিরছেন যারা, বিশেষত স্ত্রীজাতীয় হলেই তারা সবাই হলো শোপিস। পুরুষ জাতির চোখ তাদের "দেখে"। তা ভাই দেখা যেতেই পারে। সে দোষের নয়। বরং তা থেকে নতুন রাস্তা তৈরী হয়। কারোর দিকে দেখলেন, ভালো লাগলো, মন ছুঁয়ে গেলো, কবিতার জন্ম হলো, গল্প হলো, কথা আগে এগোলো, জীবনের সাথে জুড়ে গেলো সে। কি সুন্দর! দেখা যদি নাই হতো, তাহলে কি আর এমন মিষ্টি জীবন-চলচ্চিত্র তৈরী হতো? অবশ্য সব সময় যে পরিণতি এরকমই হবে তার মুচলেকা নেই। কখনও ছোট ছোট টেলিফিল্মও হয়, যা এন্ড-দে-লিভ-হাপিলি-এভার-আফ টার টাইপ হয় না। কখনও হৃদয়ে চোট, কখনও বা কোমরে। তবে তাতেও একটা এডভেঞ্চার আছে বটে। অর্থাৎ চলতে-ফিরতে ঘুরেএএ -ঘুরেএএ বা আড়চোখে টুক করে দেখা নেওয়ার মধ্যে ক্ষতি নেই। বরং লভ্যাংশ বেশ। তাই তা চলছে। মুশকিলটা হচ্ছে এই “দেখা”র নিউমেরিকাল ফ্যাক্টর এবং তার লিমিট ফাংশান কিছু আজ অব্দি আবিষ্কার হয়নি। তাই সবটাই আপেক্ষিক। কতটা “দেখা” হলে তাতে নারীরা অস্বস্তিতে পড়বেন না তা বোঝার আগেই "অ্যাংরি" রিঅ্যাকশনে ভস্মীভূত হতে হয় বহু নিরপরাধ প্রাণীকে। উল্টোটারও সমান সম্ভাবনা। পুরুষরা গলা লম্বা করে জিগাইতে পারেন, শুধু পুরুষ কেন, নারীরা? হ্যা হ্যা প্রচুর দ্যাখেন। ভারতবর্ষের নারীদের, শিলনোড়ার তলায় যতদিন রাখা গিয়েছিলো, ততদিন আড়চোখে-পর্দার পিছন থেকে, আর আজকাল প্রকাশ্যেই পুরুষ দেখা চলে। আজকাল আবার একটু বেশিই চলে, ওই বোধহয় শিলনোড়ার পুরোনো হিসেব মেটানোর উদ্দেশ্যে পুরুষদের একটু ইচ্ছাকৃতভাবেই.... তবে যাই বলুন পুরুষরাই এখনো এব্যাপারে এগিয়ে। এমন এগিয়ে যে মকবুল ফিদাবাবু ফিদা হয়ে আঁকলেন নগ্ন সরস্বতী। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন সরস্বতীকে দেখে তাঁর পুরুষালী উত্তেজনার কথা। বুঝলাম মা সরস্বতীও টার্গেট। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই উক্তি আবার সরস্বতী-সন্মান পাওয়ার পরেই। শুধুই কাকতালীয়?
ওবাবা তাতে কি? শিল্পে নগ্নতার ভিজ্যুয়াল রিপ্রেসেন্টেশনস তো সেই কবে থেকে.... সেই তো রেনেসাঁস। পাবলো পিকাসো? এগোন শিলে? এঁদের কারুকার্য হা করে দেখবেন। আর মকবুল-সুনীল শুনিলেই চমকান কেন মশাই?
আসলে ভারতবর্ষ কোনদিকে কিভাবে সাবালক হবে, আদৌ হবার প্রয়োজন আছে কিনা, সে নিয়ে বোধহয় একটু বিভ্রান্ত। "ছি ছি জঘন্য" বললেও দুর্গাপ্রণাম করতে গিয়ে এরূপ দৈহিক চিন্তা নিশ্চয় অনেক পুরুষের যে আসে, তা অবাস্তব নয় বলেই মনে হয়। মহিলাদের কি আসে না? আসে। "কার্তিক ঠাকুরকে হেবি হ্যান্ডসম লাগছে" "অসুরের বাইস্পেস তা জাস্ট অসাম" ওই আর কি! তার বাইরের চিন্তা ভাবনা? আসে হয়তো। খুব বেশি নয়। সচরাচর নয়। মহিলারা আজও একটু বেশি আধ্যাত্মিক হয়তো বা ভীতু। তা এর ঠিক-ভুল বিচার করবে মানুষের নিজের মানসিক স্থিতি। কিন্তু যদি তা ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল? তাহলে? কে ওই "জাস্ট একটু দেখা" আর "আয় ছিঁড়ে খাই" এর সূক্ষ্ম সীমারেখা দেখিয়ে দেবে? তবে সে লক্ষণরেখাটাও ছলেবলে পার করানো যায় আর জটায়ুর ডানা কাঁটা পড়ে। আমি ভাবছি মানুষ কবে রোবট হবে! চোখের সামনের চলেফিরে বেড়ানো শোপিস হবে ইমোশনলেস। যা ইচ্ছে করো, কিছুতেই কিছু হবে না। হে হে। ওহো ওহো আরে আরে "ইচ্ছেটাই" তো থাকবে না। তাতে সাহিত্য বন্ধ হবে বা বন্ধ্যা হবে। দুঃখের। কিন্তু পাঁচ-বছরের বাচ্চাকে রড-ঢোকানো-নির্মম যন্ত্রনা তো সহ্য করতে হবে না।
Picture from Google
রাস্তায় চলছেন ফিরছেন যারা, বিশেষত স্ত্রীজাতীয় হলেই তারা সবাই হলো শোপিস। পুরুষ জাতির চোখ তাদের "দেখে"। তা ভাই দেখা যেতেই পারে। সে দোষের নয়। বরং তা থেকে নতুন রাস্তা তৈরী হয়। কারোর দিকে দেখলেন, ভালো লাগলো, মন ছুঁয়ে গেলো, কবিতার জন্ম হলো, গল্প হলো, কথা আগে এগোলো, জীবনের সাথে জুড়ে গেলো সে। কি সুন্দর! দেখা যদি নাই হতো, তাহলে কি আর এমন মিষ্টি জীবন-চলচ্চিত্র তৈরী হতো? অবশ্য সব সময় যে পরিণতি এরকমই হবে তার মুচলেকা নেই। কখনও ছোট ছোট টেলিফিল্মও হয়, যা এন্ড-দে-লিভ-হাপিলি-এভার-আফ
ওবাবা তাতে কি? শিল্পে নগ্নতার ভিজ্যুয়াল রিপ্রেসেন্টেশনস তো সেই কবে থেকে.... সেই তো রেনেসাঁস। পাবলো পিকাসো? এগোন শিলে? এঁদের কারুকার্য হা করে দেখবেন। আর মকবুল-সুনীল শুনিলেই চমকান কেন মশাই?
আসলে ভারতবর্ষ কোনদিকে কিভাবে সাবালক হবে, আদৌ হবার প্রয়োজন আছে কিনা, সে নিয়ে বোধহয় একটু বিভ্রান্ত। "ছি ছি জঘন্য" বললেও দুর্গাপ্রণাম করতে গিয়ে এরূপ দৈহিক চিন্তা নিশ্চয় অনেক পুরুষের যে আসে, তা অবাস্তব নয় বলেই মনে হয়। মহিলাদের কি আসে না? আসে। "কার্তিক ঠাকুরকে হেবি হ্যান্ডসম লাগছে" "অসুরের বাইস্পেস তা জাস্ট অসাম" ওই আর কি! তার বাইরের চিন্তা ভাবনা? আসে হয়তো। খুব বেশি নয়। সচরাচর নয়। মহিলারা আজও একটু বেশি আধ্যাত্মিক হয়তো বা ভীতু। তা এর ঠিক-ভুল বিচার করবে মানুষের নিজের মানসিক স্থিতি। কিন্তু যদি তা ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল? তাহলে? কে ওই "জাস্ট একটু দেখা" আর "আয় ছিঁড়ে খাই" এর সূক্ষ্ম সীমারেখা দেখিয়ে দেবে? তবে সে লক্ষণরেখাটাও ছলেবলে পার করানো যায় আর জটায়ুর ডানা কাঁটা পড়ে। আমি ভাবছি মানুষ কবে রোবট হবে! চোখের সামনের চলেফিরে বেড়ানো শোপিস হবে ইমোশনলেস। যা ইচ্ছে করো, কিছুতেই কিছু হবে না। হে হে। ওহো ওহো আরে আরে "ইচ্ছেটাই" তো থাকবে না। তাতে সাহিত্য বন্ধ হবে বা বন্ধ্যা হবে। দুঃখের। কিন্তু পাঁচ-বছরের বাচ্চাকে রড-ঢোকানো-নির্মম যন্ত্রনা তো সহ্য করতে হবে না।
Picture from Google
No comments:
Post a Comment