-কিরে মুখটা ওরকম করে আছিস
কেন?
- মামা, পাউট প্র্যাক্টিস
করছি। এ এ এ মমম ঐটা হলো পাউট। সেলফি নিতে লাগে, আবার উত্তমবাবুর মতো গোল গোল ধোঁয়া
ওড়াতেও লাগে।
- তোদের পাউটে ইয়ে.....
ও সব জিরোর খেলা।
- জিরো? সেটা কোথা থেকে
এলো।
-তুই একটু জিরো বাবা। আমি
বোঝাচ্ছি। উত্তম বাবুর মুখ থেকে কি বেরোচ্ছে? জিরো, মানে শূন্য. বুঝলি?
- ও।
- ইয়েস ও। জানিস কি আদিম
টাইপরাইটার-এ দেয়ার ওয়াস নো জিরো। জিরোর কোনো লিখিত গুরূত্ব সেখানে নেই। ইংরিজির o
দিয়ে কাজ হয়ে যেত তো।
- ও। তা আজকাল তাহলে জিরোর
আলাদা বাটন কেন?
- অভিমানী জিরোর আইডেন্টিটি
ক্রাইসিস হওয়াতেই..... তাছাড়া o কিরকম ওয়েইট গেইন করেছে দেখেছিস? ক্যালোরি নিয়ে ওর
চিন্তাই নেই। ওদিকে জিরোকে ওসব নিয়ে ভাবতে হয়। পৃথিবীর শুরু এবং শেষএর মাঝে আছে শূন্য।
সাংঘাতিক রিস্কে। তাই তো একটা স্লিম o হিসেবে জিরো। আবার অঙ্কের হিসেবে যা নাল, পাতি
ভাষায় বাতিল।
-মানে কোনো দাম নেই?
-আছে। দৃষ্টিভঙ্গির বদলে।
এই যে দূরদেশে ফোন করবি? শুরুতেই একটি শূন্য ছাড়া সে নম্বর ডায়াল করা অসম্ভব। মানে
জিরো হলো শুরু। আবার হিমাঙ্ক হিসেবে দেখ। শূন্যতেই তরল থেকে কঠিনে পরিণত হওয়া। মানে
ঘুরে দাঁড়ানো অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
-মানে পসিটিভিটি?
-মমম মানে নেগেটিভিটির আগের
অবস্থা। যেমন অণু-পরমাণুর খেলা। নিরপেক্ষ, প্রশমিত, উদাসীন। এক তুরি নয়, ওই এক শূন্যমার্কা
ফুঁ ই দিতে পারে সব লন্ড-ভন্ড করে। এই যে কথায় কথায় "ও" বলছিস। মানে সম্মতি।
আবার সভ্যতার ভাষায় সম্পর্কশূন্যতাসূচক অবস্থার ঠিক আগের মুহূর্ত। মানে একেবারে নেই
তা নয়, আছে। আবার মুহূর্তে তা নেই হযে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। ওই সম্ভাবনা। ঐটি হলো
শূন্য। শূন্য মানে সম্ভাবনা।
No comments:
Post a Comment