Wednesday, 19 July 2017

ইমোজি না ইমোবাবু

- মে আই কাম ইন? 
- ইয়েস। সিট্ ডাউন প্লিস। আপনার বায়ো-ডাটা তো খাসা মানে বেশ ইম্প্রেসিভ। 
- বলছেন? ওই ইয়ে সবই ন্যাচারাল-ট্যালেন্ট বলতে পারেন। 
- সে আর বলতে। বলছি এখুনি একটু হেসে দেখাতে পারবেন? ওয়েট। যে সে হাসি নয় কিন্তু। ওমরেশ পুরি টাইপ?
- কি আর বলবো স্যার? হে হে ওটা তো আমার বাথরুম স্টান্ট। 
- য়্যা? সেকি? আর উৎপল দত্ত "হীরক রাজা" মার্কা?
- হে হে ঐটাও। খুবই সহজ। মুখ আধ-চাপা, বেরিয়ে থাকবে দাঁত শুধুমাত্র ওপর পাটির চারটি ইন্সাইজর। ব্যাস।
- বটে? আর কানন দেবী কান্না?
- একটু ডিফিকাল্ট ছিল শুরুতে, ডুকরে কান্না টাইপ তো, তা এখন করে ফেলতে পারি ঐটাও। আসলে শুধুই তো এক্সপ্রেশন। ভয়েসের ব্যাপারটা নেই বলেই ব্যাপারটা সহজ আর কি। সুচিত্রা সেন "সপ্তপদী" মানে চোখ ছলছল কিন্তু গাম্ভীর্য্য, মাধবী "ছদ্মবেশী" মানে মুখ বন্ধ এক গাল হাসি, রবি ঘোষ "ধন্যিমেয়ে" মানে উচ্ছে-তেতো মুখ করা পুরোহিত। এই গুলোও রপ্ত।
- আপনি তো মশাই ফাটিয়ে দিয়েছেন। এতো ট্যালেন্ট নিয়ে এতদিন কোথায় ঘাপটি মেরে ছিলেন? আপনার আগের জনেরা, যারা সব ইন্টারভিউ দিতে এলো, সব কটা যেন হিমেশ রেশমিয়া, পাথরের সাথে কম্পেটিশনেও হেরে যাবে। যাক গে যাক। শুনুন চাকরি আপনিই পাচ্ছেন। আপনার গাল গুলো একটু শুধু ভরাট করতে হবে এই যা। সে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে হেল্প করবে আমাদের টীম। এখন অনেক কাজ। আপনার সব ইমোশন প্রিন্ট করতে পাঠাতে হবে। আমাদের সোশ্যাল নেটওয়র্কিংএ লঞ্চ করতে হবে। সে নিয়ে একটা প্রমোশন ইভেন্ট এরেঞ্জ করতে হবে। টু মাচ ওয়ার্ক। ফেসবুকের সাথে কম্পিটিশন বাবা, যে সে কথা! তবে বাঙালি এক্সপ্রেশন-এর সাথে ওরা পাল্লা দিতে পারবে না। হে হে হে হে। ও আর একটা কথা, আপনার নামটা ....
- ইমোজি। বা স্মাইলি।
- উহু। বদলাতে হবে। বাঙালি এক্সপ্রেশন্স। বাঙালি ভাব-আবেগ থাকবে আর নাম ধার নেবো নর্থ ইন্ডিয়ানদের থেকে? ইমো "জি"? ওসব "জি" "ফি" চলবে না। বাবু চলতে পারে। ইমোবাবু? বা ইমো-মশাই? শর্ট-এ ইমোশাই। শব্দে বেশ একটা লাজুক ব্যাপার আছে। কি বলেন?

No comments:

Post a Comment