ফিউচার
- হ্যা আর কোনো ফিউচার দেখছি না। শুধু শুধু একে টেনে বেরিয়ে লাভ কি?
- সবই তো ঠিক ছিল শ্রী। হঠাৎ কি হলো?
- তোমার আর আমার মধ্যে এতো ফারাক। এডজাস্ট করা সম্ভব কিন্তু তার একটা লিমিট আছে তো নাকি?
- খেতে খেতে ঢেকুরটা তো আজকাল একটু কমই হয়। হয় না?
- উফ ওটা তো মাইনর। কুঁজো হয়ে হাঁটা টা আর নেওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া সময়-অসময়ে কথার খেই হারিয়ে ফেলা। পরশু রাতে ফোন করতে করতে হঠাৎ চুপ। কত কথা বলে যাচ্ছি আমি একা একাই। শেষে আওয়াজ নেই দেখে কেটে কল করি। তারপর বুঝলাম, ঘুমিয়ে পড়েছিলে। মানে হাউ ডেয়ার ইউ! যাক গে যাক আজ ঠিক করেছি আর মাথা গরম করবো না।
- বলছি যে, একটি বার আমার কথা শোনো। আমি কথার খেই হারাবো না। মানে যেই খেই হারিয়ে যাবার সিগন্যাল পাবে, আমাকে একটু চোখ মেরে দিও বা হাত টিপে দিও। আমি বুঝে যাব। কথার খেই, দড়ি, তার, পাইপ যা পাবো ধরে উঠে আসবো ঠিক মেন লাইনে। আসলে তুমি না থাকলে খেই-খৈ সবেতেই তো জল থৈ থৈ। ঠাঁই পাই কোথা বলতো। আর ঘুমের কেসটার সমাধান আছে।
- আছে?
- হ্যা গো। কলেজেই কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নেবো না হয়। ক্যারাম আর উনিয়নের টাইমটার সাথে এডজাস্ট করে নেবো। স্যার শাস্তি দেবে দিক। বন্ধুরা ত্যাগ করবে করুক। ও দুঃখ তবু সহ্য হবে। কিন্তু তোমাকে ছেড়ে থাকার দুঃখ, সারাজীবন তোর্তুগিলা দ্বীপে একা থাকার মতো হবে গো। তুমি ত্যাগ কোরো না গো। ট্যাগ করে রেখো। পিনপোস্টের মতো।
- প্লিস। রাস্তায় মেয়ে দেখলেই যে চোখটা ড্যাবডেবিয়ে বেরিয়ে আসে। জিভটাও। তার বেলা? ঐটাই মেন রিজন। আমি তো আর গরু চড়াতে তোমার সাথে হাঁটি না যে সারাক্ষন তোমার দিকেই নজর রাখবো। আর কি ইরিটেটিং! তুমি একটা পারভার্ট। বিকৃতবুদ্ধি। নাহলে রাস্তায় মেয়ে দেখে এরকম করো!
- বটেই তো। বটেই তো। গরু চড়াবে কেন খামোকা। কিন্তু তুমি তো পয়েন্টটাই বোঝোনি এতদিন আর আমাকে ভুল বুঝে এসেছো, এহ হে এহ হে এহ হে।
- কিসের পয়েন্ট? দাঁত বার না করে বলে ফেলো।
- ব্যাপারটা হলো যে, দ্যাখ তুমি হলে আমার রত্ন। মানে তোমাকে পেয়ে আমার সব পাওয়া হয়ে গিয়েছে। মানে তুমিই আমার ডেসডিমোনার সুরেলা গলা, তুমিই আমার "হামদাম সুনিও রে", তুমিই আমার "টু ফোর ফোর ওয়ান ওয়ান থ্রি নাইন, টু ফোর ফোর ...."
- একেবারে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেব কিন্তু, ভনিতা না করে বলবে?
- ঐটাই তো মানে সংক্ষেপে এই যে, তোমাকে সাথে নিয়ে হাঁটি যখন, ওরা দেখনি কিরকম হাঁ করে থাকে!! তাই ওদের আমি ইয়ে মানে....
- কি বলো?
- ওই মুখ ভেঙ্গাই। জিভ বের করে, এ এ এ এ। আর চোখ আর জিভের কানেক্শনটা তো জানোই। জিভ বেরোলেই দেখবে চোখটা বড়ো হয়ে যায়। ওই "জিম ক্যারি" ইন "দি-মাস্ক" এর মতো আর কি। কি যে প্রশান্তি কি বলবো তোমায়।
- য়্যা মানে? ওরকম বাঁদরের মতো?
- এএএই এক্কেবারে ঠিক বলেছো। বাঁদরের মতো ভেঙ্গিয়ে সারা পৃথিবীকে জানাতে চাই,"পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি, ফিং দিয়া দিই তিন দোল, আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা ...."
- আচ্ছা আচ্ছা। বুঝেছি।
- বুঝেছো?
- হুঁ।
- (ভয়ে ভয়ে) কি?
- একটু এডজাস্ট নাহয় করেই নেবো। ছেলে তুমি মন্দ না।
No comments:
Post a Comment