Tuesday, 3 October 2017

বাঁশ

"বাঁশ" শুনলেন কি ব্যাস অমনি সব ভয়ে ভ। বলি বাঁশকে ভয় পান কেন? আরে মশাই, বাঁশ তো আর নিজে নিজে ভয় দেখায় না। যত্তসব। বাঁশ-ক্যারিয়ারদের ভয় পাওয়াটা বরং লজিকাল। বাঁশ-ক্যারিয়াররা বাঁশকে অন্য-এর ওপর ইউস করলে, তাতে বাঁশের কি দোষ বলুন তো? বেচারা নির্ভেজাল শান্ত বাঁশটি। এভাবে ওকে ভয় পেতে থাকলে আর খিল্লি ওড়াতে থাকলে একদিন যে বাঁশ বাবাজি নিজেই ভয় দেখাতে হামলা করবে না, সে গ্যারান্টি নেই কিন্তু। বাঁশ বলে কি, আত্মসম্মান নেই নাকি! ভাগ্যিস পুজোর প্যান্ডেলে বছর বছর তার একটু সন্মান প্রাপ্তি হয়। না হলে ওনাকে বাগে আনা মুশকিল ছিল। এবারের পুজোতে বাঁশ বাবাজি হেব্বি হ্যাপি সুরুচি সংঘ-এ। তার মেক ওভার আগেও হয়েছে বটে তবে এখানে লুকটা জাস্ট ফাটিয়ে। তৈরী হয়েছে বাঁশ-মানুষ। উচ্চতায় সাধারণদের দু-গুণ। সিক্স প্যাক, বাই-ট্রাই সেপ্স, চেস্ট, মানে একেবারে জমে রাবড়ি। মানুষ-মানুষ সেজে বাঁশের সে কি ঝিং-চ্যাক হাবভাব! সাধারণ মানুষ যখন ভিড়ে গুঁতোগুঁতি করে, ঘাড় উঁচিয়ে, হা করে, শুধু ঢোক গিলছে, বাঁশবাবুর কি মজা। মনে মনে হেব্বি হেসেছে। সে এক কান্ড বটে।

পুনশ্চ: বাকি সবাই যেমন তেমন বাঁশ সামলেছে। কিন্তু অসুর টেনশনে সবুজ হয়ে গেছে। যতই হোক ভিলেন, যতই থাকুক ত্রিশূলের গুঁতো, যতই কামড়াক সিংহ, ফিজিক এর দিক দিয়ে একটা ফেভারেবল পসিশন তো তার ছিল এতদিন নাকি! সেটাকেই চ্যালেঞ্জ? দু হাত তুলে বলছে, "কি বাঁশ। কি বাঁশ"


No comments:

Post a Comment