"সব পেলে নষ্ট জীবন" অনুপমদা আগেই বলেছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আর তাছাড়া বাঙালিরা আবার কো-বাঙালিদের কথা বিশেষ মনে ধরেন না। পশ্চিমীদের কথাকেই ..... ওই আর কি আপ্তবাক্য বলে ধরেন।
কাচের ভিতর ঠান্ডাঘরে ১০ খানা ইয়া লম্বা লম্বা চোঙ পাশাপাশি সাজানো। তাতে একটাতে হলুদ, নিচে ছোট্ট স্টিকারে লেখা "ম্যাংগো"। ও মা গো! পাশেরটা সাদা, "পিস্তাসিও"। জিও। তারপরে "ভ্যানিলা", "রাম-রেসিন", "চকলেট", "স্ট্রবেরি", "রাস্পবেরি" আরও সব মিলে লাল-নীল-হলুদের মেলা বসিয়েছে। জিভ আন-কন্ট্রোলেবল। কোনোরকমে ঢোক গিলে গিলে সামাল দেওয়া। চোখ বাঁ থেকে ডানে যায়। মন বলে "লুটে নে, লুটে নে"। দড়াম করে অমনি মাথা থ্র্যাটেনিং দেয়,"ওহে টোয়েন্টি টু পার্সেন্ট ফ্যাট"। ভ্যাট, এই হাতছানি ইগনোর করা যায় নাকি? একটা তো নেবোই। চোখ নাচতে নাচতে এগোতে লাগলো। থামলো একটা হালকা নির্ভেজাল অলিভ সবুজে। নিয়েই নেওয়া গেলো, এক স্কুপ। জিভকে বইতে দেওয়া গেলো "আমার খোলা হাওয়া"। মাথাকে রেস্ট দেওয়া গেলো "তিষ্ঠ ক্ষণকাল"। মন-প্রাণ এক করে চামচে অমৃতাংশ তুলে স্ট্রেইট জিভে চালান করা গেলো। চনমনে ঠান্ডা মুখের ভিতর কাবাডি কাবাডি খেলতে শুরু করেছে সবে .... আহা। হুট্ করে হঠাৎ কে যেন জিভে "ধাপ্পা" বলে দিলো। "ধাপ্পা আ আ আ আ"। এমন টেস্ট, কেউ যেন রেগে ঘাস সিদ্ধ খেতে দিয়েছে। সান্তনা হিসেবে সেই সিদ্ধতে মিষ্টি দিতে ভোলেনি যদিও। এহে একিরে। শেষে মিষ্টি ঘাস! দৌড়ে যাওয়া চোঙ-এর কাছে। দেখা গেলো হালকা নির্ভেজাল অলিভ সবুজটির স্টিকারটিতে লেখা "গ্রিন টি"! জিভ চিৎকার করে ওঠে,"হে পাপাত্মা, পাষন্ড, পাপিষ্ঠ, দুরাত্মা ..... "
"সব পেলে নষ্ট জীবন" অনুপমদা আগেই বলেছেন......
অত কিছু ছেড়ে গ্রিন টিতে চোখ আটকানোর পিছনে যড়যন্ত্রটা কার সেটা ভেবে কিছুতেই উত্তর পাওয়া যায়না। কাচুমাচু চুপ মেরে থাকাই সেফ। তবে জিভ কিন্তু গালাগাল দিয়েছে উচ্চ ভাষায়। সেইটে অগ্রাহ্য করলে চলবে না। জিভের এই শালীনতার পিছনে কি ওই গ্রিন টির হাত আছে?
কাচের ভিতর ঠান্ডাঘরে ১০ খানা ইয়া লম্বা লম্বা চোঙ পাশাপাশি সাজানো। তাতে একটাতে হলুদ, নিচে ছোট্ট স্টিকারে লেখা "ম্যাংগো"। ও মা গো! পাশেরটা সাদা, "পিস্তাসিও"। জিও। তারপরে "ভ্যানিলা", "রাম-রেসিন", "চকলেট", "স্ট্রবেরি", "রাস্পবেরি" আরও সব মিলে লাল-নীল-হলুদের মেলা বসিয়েছে। জিভ আন-কন্ট্রোলেবল। কোনোরকমে ঢোক গিলে গিলে সামাল দেওয়া। চোখ বাঁ থেকে ডানে যায়। মন বলে "লুটে নে, লুটে নে"। দড়াম করে অমনি মাথা থ্র্যাটেনিং দেয়,"ওহে টোয়েন্টি টু পার্সেন্ট ফ্যাট"। ভ্যাট, এই হাতছানি ইগনোর করা যায় নাকি? একটা তো নেবোই। চোখ নাচতে নাচতে এগোতে লাগলো। থামলো একটা হালকা নির্ভেজাল অলিভ সবুজে। নিয়েই নেওয়া গেলো, এক স্কুপ। জিভকে বইতে দেওয়া গেলো "আমার খোলা হাওয়া"। মাথাকে রেস্ট দেওয়া গেলো "তিষ্ঠ ক্ষণকাল"। মন-প্রাণ এক করে চামচে অমৃতাংশ তুলে স্ট্রেইট জিভে চালান করা গেলো। চনমনে ঠান্ডা মুখের ভিতর কাবাডি কাবাডি খেলতে শুরু করেছে সবে .... আহা। হুট্ করে হঠাৎ কে যেন জিভে "ধাপ্পা" বলে দিলো। "ধাপ্পা আ আ আ আ"। এমন টেস্ট, কেউ যেন রেগে ঘাস সিদ্ধ খেতে দিয়েছে। সান্তনা হিসেবে সেই সিদ্ধতে মিষ্টি দিতে ভোলেনি যদিও। এহে একিরে। শেষে মিষ্টি ঘাস! দৌড়ে যাওয়া চোঙ-এর কাছে। দেখা গেলো হালকা নির্ভেজাল অলিভ সবুজটির স্টিকারটিতে লেখা "গ্রিন টি"! জিভ চিৎকার করে ওঠে,"হে পাপাত্মা, পাষন্ড, পাপিষ্ঠ, দুরাত্মা ..... "
"সব পেলে নষ্ট জীবন" অনুপমদা আগেই বলেছেন......
অত কিছু ছেড়ে গ্রিন টিতে চোখ আটকানোর পিছনে যড়যন্ত্রটা কার সেটা ভেবে কিছুতেই উত্তর পাওয়া যায়না। কাচুমাচু চুপ মেরে থাকাই সেফ। তবে জিভ কিন্তু গালাগাল দিয়েছে উচ্চ ভাষায়। সেইটে অগ্রাহ্য করলে চলবে না। জিভের এই শালীনতার পিছনে কি ওই গ্রিন টির হাত আছে?
No comments:
Post a Comment