দেখলাম এক বন্ধুস্ত্রী হাতে একটি ট্যাটু করিয়েছেন। একটি প্রতীকী। জিজ্ঞেস করাতে একটু খাবি খেলেন। বললেন, ও ওই ওই আর কি, ওই মানে ব্যাপারটা কুল, তাই আর কি ......
তা "কুল"র টেস্ট সবসময়ই ভালো। সরস্বতী পুজোর পর তা একটু বরং বেশি। তাই টেস্ট করতে একটু খোঁজাখুঁজি করেই ওই "কুল" প্রতীকীটির ব্যাপারে জানা গেলো।
কাকতালীয় ব্যাপার মশাই, আজ যখন চীনে ব্যাপার নিয়ে সারা পৃথিবী বেশ সরগরম, প্রতীকটিও চিনে। চীনা ঐতিহ্যবাহী ‘তাইজিতু’ (Taijitu) প্রতীক (ছবি সাঁটানো)। এই প্রতীকের একপাশ অন্ধকার বা কালো (ইন), অন্য পাশ আলোকিত বা সাদা (ইয়াং)।
"ইন" আর "ইয়াং" এর কথা নিয়ে কোটি লেখা থিক থিক করছে ই-জগতে। ছোট করে বলতে গেলে, চাইনিস "টাও" ফিলোসফি মতে, ইন মানে মুন, ইয়াং মানে সান। ইন মানে ঢাকা, ইয়াং মানে খোলা। ইন মানে মহিলা, ইয়াং মানে পুরুষ। আর উভয় মিলেই এই ইউনিভার্স। একে অপরকে ছাড়া কিছুই নয়। খুবই জানা তথ্য। নতুন কিছু নয়। অর্ধনারীশ্বর কনসেপ্ট তো আমাদের ঘরের। এ নিয়ে সবাই আমরা সুজ্ঞানী। কেউ বলতে বললেই চার নম্বরের সারাংশ নেমে যাবে চোখের পলকে। হোঁচট খেলাম যখন আরও পড়ছি আর বুঝছি চাইনিস মত অনুযায়ী ইন মানে নেগেটিভ, আর ইয়াং মানে পসিটিভ। ইন মানে প্যাসিভ, অন্ধকার, কালো আর ইয়াং মানে একটিভ, আলো মানে সওওওওওব ভালো। ইউনিভার্সের সাদা কালো, অন্ধকার আলোর কন্সেপ্টে মহিলাদের ওই অন্ধকারের সাথে যোগে আমার বড় ধাঁধা।মহিলাদের নেগেটিভ বলে যে মহান কান্ড চাইনিস এনসেস্টররা করেছেন, আজকের চাইনিসরা তার প্রতিবাদ করেন যদিও। তারা জেন্ডার ইকুয়ালিটিতে বিশ্বাস করেন। তথাপি মধ্যযুগীয় কাল থেকে মহিলাদের এই যে নঞর্থক ভাবার প্রবণতা তা অন্য দেশেও স্পষ্ট। ১৪ থেকে ১৮ শতকে মহিলাদের দ্বারা কোনো ব্যাভিচারের অভিযোগ আসলে, শাস্তি হিসেবে আবিষ্কার হয়েছিল এক যন্ত্র যাকে "ব্রেস্ট রিপার" বলে (ছবি সাঁটানো)। এই যন্ত্র দিয়ে তাদের ব্রেস্ট ছিড়ে নেওয়া হতো। নানা এক্সপেরিমেন্ট এও দেখা গেছে, সুযোগ পেলে শান্ত নিরীহ পুরুষও মহিলাদের শরীরের সুযোগ নিয়েছেন। শেক্সপীয়ারের গল্প অনুযায়ী, শ্রীউ বলে অবিহিত করা হতো স্পষ্টভাষী মহিলাদের, যাদের সামাজিকভাবে নেতিবাচক চোখে দেখা হতো। এথেন্সে ডেমোক্রেসি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই, তবু মহিলাদের মা হিসেবে দেখাই অর্থাৎ সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং তাদের লালন করাই একমাত্র কাজ বলে মনে করা হতো। ঋগ্বেদ যুগ বাদ দিলে ভারতবর্ষে মহিলাদের ইনইকুইলিটিও সবারই জানা।
যদিও আজ চিত্র অন্য। তার জন্য পুরুষদের সুচেতনাকে ধন্যবাদ।
কিন্তু কথা হলো, বন্ধুস্ত্রী, যিনি এই প্রতীকটিকে বহন করে চলেছেন, তাকে নিয়ে আমার বড়ো দুশ্চিন্তা। কুল দেখাতে গিয়ে মস্ত ভুল করেননি তো?

তা "কুল"র টেস্ট সবসময়ই ভালো। সরস্বতী পুজোর পর তা একটু বরং বেশি। তাই টেস্ট করতে একটু খোঁজাখুঁজি করেই ওই "কুল" প্রতীকীটির ব্যাপারে জানা গেলো।
কাকতালীয় ব্যাপার মশাই, আজ যখন চীনে ব্যাপার নিয়ে সারা পৃথিবী বেশ সরগরম, প্রতীকটিও চিনে। চীনা ঐতিহ্যবাহী ‘তাইজিতু’ (Taijitu) প্রতীক (ছবি সাঁটানো)। এই প্রতীকের একপাশ অন্ধকার বা কালো (ইন), অন্য পাশ আলোকিত বা সাদা (ইয়াং)।
"ইন" আর "ইয়াং" এর কথা নিয়ে কোটি লেখা থিক থিক করছে ই-জগতে। ছোট করে বলতে গেলে, চাইনিস "টাও" ফিলোসফি মতে, ইন মানে মুন, ইয়াং মানে সান। ইন মানে ঢাকা, ইয়াং মানে খোলা। ইন মানে মহিলা, ইয়াং মানে পুরুষ। আর উভয় মিলেই এই ইউনিভার্স। একে অপরকে ছাড়া কিছুই নয়। খুবই জানা তথ্য। নতুন কিছু নয়। অর্ধনারীশ্বর কনসেপ্ট তো আমাদের ঘরের। এ নিয়ে সবাই আমরা সুজ্ঞানী। কেউ বলতে বললেই চার নম্বরের সারাংশ নেমে যাবে চোখের পলকে। হোঁচট খেলাম যখন আরও পড়ছি আর বুঝছি চাইনিস মত অনুযায়ী ইন মানে নেগেটিভ, আর ইয়াং মানে পসিটিভ। ইন মানে প্যাসিভ, অন্ধকার, কালো আর ইয়াং মানে একটিভ, আলো মানে সওওওওওব ভালো। ইউনিভার্সের সাদা কালো, অন্ধকার আলোর কন্সেপ্টে মহিলাদের ওই অন্ধকারের সাথে যোগে আমার বড় ধাঁধা।মহিলাদের নেগেটিভ বলে যে মহান কান্ড চাইনিস এনসেস্টররা করেছেন, আজকের চাইনিসরা তার প্রতিবাদ করেন যদিও। তারা জেন্ডার ইকুয়ালিটিতে বিশ্বাস করেন। তথাপি মধ্যযুগীয় কাল থেকে মহিলাদের এই যে নঞর্থক ভাবার প্রবণতা তা অন্য দেশেও স্পষ্ট। ১৪ থেকে ১৮ শতকে মহিলাদের দ্বারা কোনো ব্যাভিচারের অভিযোগ আসলে, শাস্তি হিসেবে আবিষ্কার হয়েছিল এক যন্ত্র যাকে "ব্রেস্ট রিপার" বলে (ছবি সাঁটানো)। এই যন্ত্র দিয়ে তাদের ব্রেস্ট ছিড়ে নেওয়া হতো। নানা এক্সপেরিমেন্ট এও দেখা গেছে, সুযোগ পেলে শান্ত নিরীহ পুরুষও মহিলাদের শরীরের সুযোগ নিয়েছেন। শেক্সপীয়ারের গল্প অনুযায়ী, শ্রীউ বলে অবিহিত করা হতো স্পষ্টভাষী মহিলাদের, যাদের সামাজিকভাবে নেতিবাচক চোখে দেখা হতো। এথেন্সে ডেমোক্রেসি শুরু হয়েছিল অনেক আগেই, তবু মহিলাদের মা হিসেবে দেখাই অর্থাৎ সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং তাদের লালন করাই একমাত্র কাজ বলে মনে করা হতো। ঋগ্বেদ যুগ বাদ দিলে ভারতবর্ষে মহিলাদের ইনইকুইলিটিও সবারই জানা।
যদিও আজ চিত্র অন্য। তার জন্য পুরুষদের সুচেতনাকে ধন্যবাদ।
কিন্তু কথা হলো, বন্ধুস্ত্রী, যিনি এই প্রতীকটিকে বহন করে চলেছেন, তাকে নিয়ে আমার বড়ো দুশ্চিন্তা। কুল দেখাতে গিয়ে মস্ত ভুল করেননি তো?

ব্রেস্ট রিপার যন্ত্র দেখার পর থেকে গলা সহ অনেক কিছুই শুকিয়ে গেছে। কেউ যদি পেনিস রিপার বানায়!
ReplyDelete