-কিরে, সেল্ফের মধ্যে থেকে
থেকে ঘুমিয়ে পড়েছিস যে! ভালোই আছিস, আর আমার দেখ কত কাজ। এখ্খুনি বুড়ো আবার আমাকে নিয়ে
ক্লিক ক্লিক শুরু করবে। তবে.... যতই হোক কর্মই
ধর্ম। এখন আমার কাজ করার দিন। হে হে আর তোর
পরে পরে ঘুমানোর আর আমার দিকে ঈর্ষার উঁকি-ঝুঁকির দিন। কিরে ভুল বললাম? খিক খিক।
- হমমম
- শুধু হমমম ! অবশ্য কিই
বা বলবি। উইগুলো সব লাইন দিয়ে তোর ওই সেলফের দিকেই। যা সামলা ওদের। তোদের নিয়ে এই হচ্ছে
মুশকিল। কোনো কাজেও আসবি না, উপরন্তু আবার
হেভি মেইন্টেনেন্স কস্ট। বুড়ো যে কেনো তোদের
লাইব্রেরিতে দিয়ে দিচ্ছেনা, বুঝিনা। বেকার ঝামেলা।
- (মুচকি হাসি) ওটি হবে
না হে ছোকড়া। ওই কোনায় ঢুলছে "মধুসূদন রচনাবলী", ওর ১০৮ নম্বর পাতার ভাঁজে
রাখা শুকনো গোলাপ নিয়ে দেখিস না বুড়ো কিরকম আদিখ্যেতা করে প্রতি দুপুরে। ওই যে সমরেশ
বসুর "প্রজাপতি" চোখ পিটপিট করছে। ওকে পড়তে গিয়ে সেকি কান্ড, বুড়োর চোখের
সব কান্না কোপাই হয়ে বয়েছিল পাতায় পাতায়। এখনো তার স্রোতের শব্দ শোনা যায় মাঝে মাঝে। আর আমি, মানিকবাবুর "পুতুল নাচের
ইতিকথা", প্রতি বিকেলে চা খেতে খেতে বুড়ো যখন তাকায় আমার দিকে, মনে মনে কি জিজ্ঞেস করে জানিস,"শরীর! শরীর!
তোমার মন নাই কুসুম?" সে মনের হদিস আমার কাছেই যে পায়, "শশী"বুড়ো। আর
এই যে "গুলজার" হেলে আছে। বুড়োর নবজন্ম এর আমানত আছে "গুলজার"এ।
এ না থাকলে তো কবেই সন্ন্যাসী হয়ে যেত বুড়ো। তখন কোথায় থাকতিস তুই, তোর স্ক্রল আর তোর
ক্লিক ক্লিক। যতই চাচা চৌধুরীর নব সংস্করণ হও হও হে হিরো, কোথায় পাবে পাতার পর পাতায়
লেগে থাকা সেই হাজার কথা মনে করিয়ে দেওয়া গন্ধ আর ছোট্ট সেই হাতে লেখা পেজমার্কগুলো,
যার একটাতে প্রথম "আই লাভ ইউ" লেখা লাল কালিতে। কোথায় পাবে? কোথায় পাবে!
No comments:
Post a Comment