ঝড়-বৃষ্টি-বজ্র-বিদ্যুৎ এরা বেশ জমিয়ে মাঝরাতেই একটা জবরদস্ত নাটক মঞ্চস্থ করবে বলে রেডি।
Tuesday, 27 February 2024
একটা জবরদস্ত নাটক
Wednesday, 14 February 2024
এসব নাটক আর কতদিন
'আমরা নতুন যৌবনের দূত' অর্থাৎ এএনজেডি এবং 'আমরা সবাই রাজা' অর্থাৎ এএসআর, এই দুটি ক্লাবের ঝগড়া ধারাবাহিক। এতটাই, যে এবার ইতিহাসের পাতায় নাম উঠল বলে।
Tuesday, 13 February 2024
বাজল আজ ভীমপলাশী
গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে নানান কান্ড। হাসি-ঠাট্টা-তামাশা-মজা। 'ধুস ভাল্লাগেনা' হয়ে চলছে দিনগুলো। ফেসবুক খুলবেই না, এমনই ভেবেছিল পূরবী। অসহ্য লাগছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসা দেখানোর খেলা। অফিসে, ফেসবুকে কত কথা কাটাকাটি হলো এই নিয়ে। ভ্যালেনটাইন উইক! কী ভয়ানক বাড়াবাড়ি, লোক দেখানো! আগে একদিন ছিল, এখন পুরো সপ্তাহ ধরে চলছে! যেন দুর্গাপুজো! একথা মনে হতেই দুম করে হঠাৎ একটা ভাবনা এল। পুজোও তো মানুষ সারাবছর করে। তাহলে দুর্গাপুজো নিয়ে এতো মাতামাতি কেন। আসলে হয়ত মানুষ আনন্দ পেতে চায়, উৎসবে থাকার ছুতো খুঁজতে চায়। অনেক কিছু ভুলে যাওয়ার জন্য, অথবা অনেক কিছু মনে পড়ানোর জন্য।
Wednesday, 7 February 2024
শীতটা শেষ হতে চলেছে, ইটস বোরিং, ম্যান
নতুন বছর শুরু আর ওদিকে শীতটা শেষ হতে চলেছে!
এমন রাগ হয় যে কি বলব। শীত এলো, যেন গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স। আরে বাবা, দু এক মাস আরও থেকে যাবি, রসে-বশে-বসে-কষে, তা না! মাঙ্কিক্যাপটা তো সূর্যের মুখ দেখতেই পেল না। মটনের ইনটেক ২০% বাড়াতেই ঘেমে ঘ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। শাটল গাড়ির চারজনের সিটটা আবার তিনজনের মনে হতে শুরু করেছে। সবাই এক্সপ্যান্ড করছে, প্রস্থে! ধুস ধুস ধুস...রোববার সন্ধ্যেতে রোমহর্ষক ভূতের গল্পে কম্বলের মরাল সাপোর্ট তো মেলে এই শীতেই।
আর ওদিকে বেহালা টু বইমেলা জার্নি সামলানোর মত মানানসই ক্লাইমেটটা তো নিদেনপক্ষে চাই নাকি!
আরও কতকিছু যে রইলো বাকি!
সার্কাস দেখা, ক্ষীরাই যাওয়া, লাল-হলুদ শাড়ি পড়ে বোলপুরে সেল্ফি কিচিক ইত্যাদি ...
বল্টুকে মুখ থেকে একরাশ ধোঁয়া বের করা ম্যাজিক দেখানো বাকি,
জমাট কুয়াশাতে প্রিন্সপ ঘাট থেকে দৌড়ে এসপ্লানেড যাওয়া বাকি,
ঠাকুমার কোলে শুয়ে কম্বল মুড়িয়ে খই নাড়ু খাওয়া বাকি।
আর মাখোমাখো প্রেমে বাহু জড়াইয়া, পুস্পকাননে টহল দিয়া, কড়াইশুটির কচুরি গিলিব নব্য আলুর সহিত, উহাও যে বাকি।
ধুস!
P.S. অল্টারনেট ডে তে স্নানের রুটিন আবার ব্যাক টু ডেইলি রুটিন। ইটস বোরিং, ম্যান।
Friday, 2 February 2024
ও ঠাকুরমশাই! আমার বাড়িতে ছোট্ট করে .. প্লিস .. বাচ্চাটা অনেকক্ষণ ধরে ..
-ও ঠাকুরমশাই বলছি মানে ইয়ে একটু পুজোটা দিয়ে যান না।
-কেন বৌদি, কাল যে দেখলুম রাঘব ভটচাজের সাথে ডিল করলেন, লম্বা ফর্দ করলেন উনি. আসেননি বুঝি? জানতুম চিরকাল ওর প্রচন্ড লোভ, অ্যাডভান্স করে বসেননি তো আবার হে হে
-ইয়ে মানে, ওই এক শো.... সে বাদ দিন, বলছি বাচ্চা মেয়েটা আশা করে আছে, অঞ্জলি দেবে। আপনি একটু করে দিন না।
-আহা রে, আসলে আমি তো খেয়ে ফেলেছি, মানে আগের বাড়ি এতো জোড় করলো, আমার আবার লোভ কম। অনলি ছ-বাড়ি পুজো আর ছ-নম্বরে একটু লুচি, পায়েস, সুজি ....
-তাতে কি! একটু এদিক-ওদিক করে ম্যানেজ করে নিন না প্লিজ।
-হে হে, সব কি আর ওভাবে ম্যানেজ হয় বৌদিমনি, ওই যে বললুম লোভ আমার এক্কেবারে নেই। ওসব পাপের কাজ করবো নাকি, খেয়ে পুজো?
- আপনি ব্রাহ্মণ মানুষ, কোনো পাপ নেই, আপনি ভগবানের ডিরেক্ট প্রতিনিধি বলে কথা, আমি আসলে একটা শাড়িও কিনে রেখেছি, আর ধুতি-মিষ্টি-পোলাও-বেগুনভাজা তো আছেই। ভেবেছিলাম ব্রাহ্মণকে দান করবো।
- ওহ! ইয়ে ... পোলাও-বেগুনভাজা ... ইয়ে শুধুমাত্র বাচ্চাটার মুক চেয়ে রাজি হলুম, চলুন দেখি, সব জোগাড় যন্তর দেখিয়ে দিন
সিঙ্গারা সেসময়
স্কুলে এক মাসি ছিলেন, টিফিনের সময়ে ঝুড়ি নিয়ে আসতেন। ঝুড়িতে থাকত সিঙ্গারা। দু টাকাতে পাওয়া যেত একটা সিঙ্গারা। ঝুড়ির পাশে আরেকটা মিনি ঝুড়ি থাকত, পয়সা ফেলার জায়গা। দুপুরে ঘন্টা বাজলেই, মাসি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকত। বাকি সমস্ত কাজ অটোমেশনে হত। ছাত্রীরা আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে মাসির কাছে পৌঁছত, পয়সা ফেলত এক হাতে, সিঙ্গারা নিত অন্য হাতে এবং গায়েব। পুরো ব্যাপারটা একেবারে সাজানো।
বাড়িতে প্রতি শনিবার বিকেলে গরম-পাতলা-মচমচে-চামড়া-ভরাট-পুর সিঙ্গারা নিয়ে আসত কাকা। রবিবার নিয়ে আসত বাবা। বিকেল পাঁচটায় দূরদর্শনে উত্তমকুমারের (বেশিরভাগ সময়) সিনেমা চলত। উত্তম-সিঙ্গারায় সময়টা জব্বর কাটত।
রবিবার সকালে আঁকার স্কুল থেকে মাঝে মাঝে সিঙ্গারা খাওয়া হত। তার আকার অপেক্ষাকৃত ছোট, দামে কম কিন্তু স্বাদ চমৎকার।
অষ্টমীর অঞ্জলি শেষ করে কচুরি খাওয়াই নিয়ম তবে সিঙ্গারা হলেও মন পুলকিত হত সন্দেহ নেই।
বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে গেলে (আজকের দিনে প্রায় অস্তিত্বহীন), ছোটদের যাওয়ার তেমন প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও, নিয়ে যাওয়া হত সঙ্গে। তাই গিয়েছিলাম। সেখানে মিষ্টির পাহাড়ের মাঝে সিঙ্গারার পাহাড় না থাকলে বিষয়টা জমত না!
শীতকালের ফুলকপির সিঙ্গারার মহিমা ছিল অন্যরকম। ছোটরা গপাগপ খেয়ে যখন ঢেঁকুর তুলছে, জেঠু পুরের দিকে ভালো করে দেখে বুঝছেন, ফুলকপির পরিমাণ আগের থেকে কমছে কি!
সিঙ্গারার সঙ্গে পার্টনার হল জিলিপি। সিঙ্গারার নোনতা-ঝালের মাঝে মাঝে জিভকে চমকে দিয়ে মিষ্টির আস্বাদ, এ এক বিস্ময়কর পার্টনারশিপ। পরের দিকে চাটনি/সস দেওয়া শুরু হল বটে, তবে ব্যক্তিগতভাবে ওসব অনুষঙ্গ ছাড়া মূল বিষয়ের স্বাদ নেওয়ার আনন্দ নিতে পছন্দ করেছি।
পৃথিবীর প্রায় ৪০টি দেশে ঘুরেও সিঙ্গারার মহিমা বাংলার বাইরে কোথাও পাইনি টেবিল চাপড়ে বলতে চাই। মনে রাখতে হবে, সিঙ্গারা আর সামোসা এক নয়। এক করলে, তা সমস্যা।
শিশুকালের অগুণতি সিঙ্গারা গ্রাস করার ক্ষমতা বয়সের সঙ্গে কমেছে। শিশুকালের সেই দুনিয়া এখনকার তেল, দূষণ, বুকজ্বালা, এন্টাসিড, ওবেসিটির দুনিয়ার থেকে অনেক দূরের।