-ও ঠাকুরমশাই বলছি মানে ইয়ে একটু পুজোটা দিয়ে যান না।
-কেন বৌদি, কাল যে দেখলুম রাঘব ভটচাজের সাথে ডিল করলেন, লম্বা ফর্দ করলেন উনি. আসেননি বুঝি? জানতুম চিরকাল ওর প্রচন্ড লোভ, অ্যাডভান্স করে বসেননি তো আবার হে হে
-ইয়ে মানে, ওই এক শো.... সে বাদ দিন, বলছি বাচ্চা মেয়েটা আশা করে আছে, অঞ্জলি দেবে। আপনি একটু করে দিন না।
-আহা রে, আসলে আমি তো খেয়ে ফেলেছি, মানে আগের বাড়ি এতো জোড় করলো, আমার আবার লোভ কম। অনলি ছ-বাড়ি পুজো আর ছ-নম্বরে একটু লুচি, পায়েস, সুজি ....
-তাতে কি! একটু এদিক-ওদিক করে ম্যানেজ করে নিন না প্লিজ।
-হে হে, সব কি আর ওভাবে ম্যানেজ হয় বৌদিমনি, ওই যে বললুম লোভ আমার এক্কেবারে নেই। ওসব পাপের কাজ করবো নাকি, খেয়ে পুজো?
- আপনি ব্রাহ্মণ মানুষ, কোনো পাপ নেই, আপনি ভগবানের ডিরেক্ট প্রতিনিধি বলে কথা, আমি আসলে একটা শাড়িও কিনে রেখেছি, আর ধুতি-মিষ্টি-পোলাও-বেগুনভাজা তো আছেই। ভেবেছিলাম ব্রাহ্মণকে দান করবো।
- ওহ! ইয়ে ... পোলাও-বেগুনভাজা ... ইয়ে শুধুমাত্র বাচ্চাটার মুক চেয়ে রাজি হলুম, চলুন দেখি, সব জোগাড় যন্তর দেখিয়ে দিন
No comments:
Post a Comment