Thursday, 27 April 2017

শিল্প ভাবনা

মানুষের শিল্প ভাবনা যত্রতত্র। শিল্পকাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায় তাদের ব্যক্তিত্ব। তাদের শিল্পীস্বত্বা পাশের মানুষকেও দেয় অনাবিল আনন্দ।
এই যেমন এই ছবিটি, দেখুন ভালো করে। ইতিমধ্যেই দেখে নিয়েছেন? তাহলে অনুরোধ করবো, আরেকবার দেখুন।

-কি দেখছেন বলুন তো?
-আরে, ওই তো কটা চাড্ডি রুমাল আর মোজা।
-ধুস, ভালো করে দেখুন। রুমাল গুলি দেখুন বাঁ দিক থেকে ডানে। কিরকম রংগুলি গাঢ় থেকে ধূসর? আবার উল্টোদিক থেকে ধূসর থেকে গাঢ়। এবার মোজাগুলি দেখুন। এর মধ্যে আবার অন্য বৈচিত্র। গাঢ়-ধূসর-গাঢ়।
- কি বুঝলেন?
- কি আর বোঝার আছে বলুন তো?
- বটে, এবার তো আপনার শিল্পচিন্তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে মশাই। দেখুন এর মধ্যে আছে নিষ্পাপ অভিরাম শিল্প। এবং এর মাধ্যমে শিল্পীর চরিত্র প্রকাশ পায়। চারটি প্রধান বৈশিষ্ঠ্য নজরে পড়ে।

প্রথমত
শিল্পী নিশ্চয় কাজে-কর্মে বেশ নিপুণা। ঘরে বাইরে নিশ্চয় তিনি অনবদ্য়।

দ্বিতীয়ত
এনার হাতে সময় অনেক। তাই সময় নিয়ে এক এক করে এগুলি সাজিয়েছেন।

তৃতীয়ত:
দেখুন মহিলারুমাল এবং পুরুষমোজা বেশ কাছাকাছি। মানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা যাকে বলে বেশ মাখোমাখো।

চতুর্থত:
রুমালের ক্ষেত্রে রং ধূসর থেকে গাঢ় অর্থাৎ বেশ খুশিতেই দিন কাটছে শিল্পীর। মোজার মধ্যে বৈচিত্র্য সুতরাং স্বামীর জীবন বেশ রঙিন। রঙের ওঠানামা নজরে আসে। কিন্তু তা সংযত।

তাছাড়া ব্যালান্স মানে সামঞ্জস্য ব্যাপারটা শিল্পী ভালোই বোঝেন। সে সংখ্যার দিকেই হোক বা জোড়ায়।
ম্যাট্রিমোনিয়াল নয় একই রকম একটি মানুষের প্রয়োজন এ সমাজে। শিল্পীর সাথে আলাপচারিতাতেই কিছু জ্ঞানবৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ থেকেই যায়। কি বলেন?





No comments:

Post a Comment