Tuesday, 17 June 2025

মাছ বলতে এই

 আস্ত পাবদা মাছের কালোজীরা কাঁচালংকা দিয়ে ঝোল ৷

চিতল মাছের পেটির কালিয়া, আর গাদা থেকে কাঁটা বেছে  মুইঠ্যা, নারকেলের দুধ দিয়ে ৷ গলদা চিংড়ির মালাই কাড়ি , বা বাগদা চিংড়ি ভাপে ৷

ভেটকি মাছের পাতুরী, কলাপাতায় মুড়ে৷ তার কাঁটা আর তেল দিয়ে ঝাল কাঁটার চচ্চড়ি। ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট মুগের ডাল বা কচু শাক দিয়ে ৷ কুঁচো চিংড়ি বাটা দিয়ে পোস্তর বড়া। বেসনে চোবানো তোপসে মাছ ভাজা ৷ পলতাপাতায়, বা লাউপাতায় মুড়ে নোনা ইলিশের বড়া ৷

বেগুন, কালোজিরের পাতলা ইলিশের ঝোলও হত৷ পেটির দিক ডিম পোরা৷ কৈ মাছের গঙ্গাযমুনা, বা হরগৌরী। মাছের একদিক ধনেপাতা বাটা দেওয়া সবুজ রঙের, আর অন্যদিকে 'সর্ষের হলুদ রঙ। দুই সাইডে একই মাছের দুরকম স্বাদ।

বাটা মাছ মাখা, বাটা মাছ সেদ্ধ করে, কাঁটা বেছে, পেঁয়াজ, কাঁচা লংকা, আদার রস আর অল্প লেবুর রস, সর্ষের তেল, নুন দিয়ে মাখা। উপরে ধনে পাতা কুচি।

দেশী ট্যাংড়ার ঝাল, লাল লাল।

টাকি মাছ ভর্তা, উফ কর্তা!

ইলিশ পোলাও, ওয়াও। 

ছোটমাছের টক তেঁতুল দিয়ে।

ওহ হ্যাঁ, তেলাপিয়া আর লইট্যা, চাইট্যা পুইট্যা।

(এপ্রিল ৮, ২০২১)




Monday, 2 June 2025

ঘাম ঘ্যাম

 এসি আর প্রাকৃত চল্লিশ ডিগ্রীর ধরা-ছাড়াতে মাথায় বাজছে হানি সিং।

ঘাম ঘ্যাম নিয়ে বলছে, "ন্যাচারাল স্পা রে পাগলা, এনজয়"।

কষেকষা ঝালঝোল খাওয়ার আগেই পেট হেভিওয়েট চিলড ওয়াটার ট্যাঙ্ক। চিকেন মুখের কাছে পৌঁছনোর মুহূর্তে টপ করে দুফোঁটা ঘাম সাই করে মিশে গপাৎ। স্বাদের মাত্রা বলছে, "এ অন্য লেভেল"।

গালাগালির পরিসর বাড়াতে "ন্যায়" কেস ঢুকবে বলে শাসিয়ে গেছে।

মেইন কোর্স হিসেবে মাইক্রোফনে ধর্মীয় গান। দিগ্বিদিকে পুণ্যবাণী ছড়িয়ে দেওয়ার সৎউদ্দেশ্য। জোর "সোরে", কান ডে-অফ চাইছে। না দিলে প্রতিবাদ করে জানতে চাইছে, "নব্বই ডেসিবেল ছাড়িয়েছে, কমপ্লেইন করতে কোথায় যেন যেতে হয়?"

জামাইষষ্ঠী-সেমেস্টার লগ্ন-বৈচিত্র্য চাইছে, একটু যদি তাদের ওপর দয়া করা হয়।

সুখের কথা এই যে পাশের বাড়ির তেড়ে-কেটে তার-কাটা (waist-turn) নাচের প্র্যাক্টিস বেশ কিছুদিন যাবৎ হলো নীরব। "হোয়াই আর ইউ সো সাইলেন্ট? ইন্ডিয়া ওয়ান্টস তো নো।"

আমার ব্যক্তিগত ধারণা, এই নীরবতা ঋতুগত কারণে।

আষাঢ়-শ্রাবণে কাটা-তার জুড়লে আপনাদের কন্ফার্ম করবো।


৩ জুন ২০১৭ 




Monday, 12 May 2025

সান্ধ্য ভ্রমণ

তখন দেশে covid এর আক্রমণ 

তিনজন মহিলা গলিতে সান্ধ্যভ্রমণে বেড়িয়েছেন। দুজন শাড়ি, একজন কামিজে। দেখা যাচ্ছে শাড়ি জনেরা আঁচল দিয়ে এবং কামিজের উনি ওরনা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখে মোটামুটি দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছেন। গলির মুখে পৌঁছে আবার ফিরে আসছেন। বোঝা যাচ্ছে নিতান্তই শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজনেই হাঁটতে বেড়িয়েছেন, গল্প আড্ডার উদ্দ্যেশ্যে নয়। বারচারেক গলি অতিক্রম করার পর তাঁদের মধ্যেকার দূরত্ব কমছে মনে হলো। মুখ থেকে ঢাকা সরছে। অল্প অল্প। এখন একদম নেই। খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ে কথাবার্তা চলছে। কাছাকাছি আসতে শোনা গেল, পাশের বাড়ির বসাককাকু নাকি কাল আলুপোস্ততে নুন বেশি দিয়েছেন, তাতে বসাক কাকিমা কাকুকে সামান্য উত্তেজিত হয়ে কিছু অনাবিল অকৃত্তিম গালি দিয়েছেন। গলা বসাক কাকিমার কখনই বসে থাকে না। তার ফলে সে ধ্বনি পাড়া মহল্লায় সাড়া ফেলেছে।

ব্যাপারটা এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ, যে মুখ ঢেকে রেখে তার সম্পূর্ণ বর্ণন প্রায় অসম্ভব।

তবে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনার পর পরই তিনজনেই আবার মুখ ঢাকা দিয়েছেন এবং ধীরেধীরে বাড়ী চলে যাচ্ছেন।

আজকের সান্ধ্য ভ্রমণ এই অব্দি।


১২ মে ২০২০ 




Saturday, 10 May 2025

একটা গান পাঠিও

 ধরো যদি মনের চিলেকোঠায় ঘনায় ধন্ধ,

সহসা যোগাযোগের রাজপথ হয়ে যায় বন্ধ,

মাঝরাতে তবু উড়ে আসে চেনা সেই গন্ধ,

কষ্টে যদি তোমায় খুঁজি, আঁধারে আমি অন্ধ,



একটা গান পাঠিও


(০৯ মে ২০১৯)





Friday, 2 May 2025

রাজপুত্র vs ব্যাঙ

 একজন রাজকন্যা একবার একটি ব্যাঙকে চুমু খায়, এবং সবুজ ত্বকের নিচে এক সুদর্শন রাজপুত্র প্রকাশ পায়। ধরুন ঘটনা অন্যরকম। একটি ব্যাঙ, এক রাজকন্যাকে চুমু খায় এবং তাকেও ব্যাঙে পরিণত করে, এবং নিজের জলাভূমির জগতে নিয়ে যায়? এই অদ্ভুত পটচিত্রে, তাদের আর প্রাসাদ বা মুকুটের দরকার হয় না, শুধু পদ্ম শালুক কচুরিপানা ভরা আর চাঁদের আলোয় ঝিকিমিকি করা পুকুরই তাদের রাজ্য হয়ে ওঠে। তারা একসাথে জলাভূমিতে লাফায়, মোহময় ভালবাসার জালে জড়িয়ে থাকে। যখন বৃষ্টি নামে, তখন তা হয়ে ওঠে নিখাদ ব্যাঙদের উৎসব, তারা কাদায় লাফায়, জিহ্বায় বৃষ্টির ফোঁটা ধরে আর আনন্দে মেতে ওঠে। এমনকি আকাশও যেন আশীর্বাদ করে তাদের প্রাণময় প্রেমকাহিনীকে।

সুন্দর, তাই না?

কিন্তু আমরা কি কখনও ভাবি, প্রচলিত গল্পে রাজপুত্রকে কেন ব্যাঙের সঙ্গে তুলনা করা হলো? অনেক জায়গায় ব্যাঙকে কুৎসিত, পিচ্ছিল বলে মনে করা হয়, যা রাজপুত্রের সৌন্দর্যের এক নিখুঁত বিপরীত। কিন্তু আমরা কীভাবে বিচার করি কী সুন্দর আর কী নয়? কুৎসিততা কি সত্যিই সহজাত, নাকি তা শুধুই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়?



Wednesday, 30 April 2025

বসলো এসে মুখোমুখি

 বাইরে তখন কালবৈশাখী,

টুকটুকে ওই লাল পাখি,
বসলো এসে মুখোমুখি,
বললো হেসে, "ভালোবাসি"।
ভালোবাসা, অসামান্য,
জানি তুমি চঞ্চল, বন্য,
তবু এই ভালো বাসা,রাখা রইলো তোমার জন্য।
মন ভরে ডাকবো যখন, এসো প্লিস, হবো ধন্য।

৩০ এপ্রিল ২০১৯ 



তখন আমি উড়ছি পাখা না ঝাপটে

 তখন আমি উড়ছি পাখা না ঝাপটে,

তখন আমি সুটটা টানি গলির খাঁজে,

তখন আমার দুপুর কাটে মেঘ-নকশায়,

সেদিন তোমায় প্রথম দেখি ওই জানলায়,

তখন থেকে তুমি আমার ঘড়ির কাঁটায়,

প্রথম চিঠি ঠিক করেছি দেব তোমায়,

বুকপকেটে বোমা নিয়ে পৌঁছে দেখি,

রুমাল দিয়ে মুছছো বুঝি তোমার আঁখি?

মনে হলো, কাঁধ আমার শক্ত নয়,

তোমার চোখের ভার কমাবো সাধ্য নেই।

ফিরে এলাম, উড়িয়ে চিঠি, পুড়িয়ে বুক,

প্রথম চিঠি টুকরো হয়ে খুঁজুক সুখ।

২৯ এপ্রিল ২০১৮ 




লাঞ্চ বাক্স

হঠাৎ কখনো রাস্তায় দেখা না হয় নাই হলো,

দুম করে রেস্তোরাঁতেও নয়।

আমাদের যে পছন্দের জায়গা ছিল,

পাহাড়,

তার ধারের ওই চেয়ারতাতেও হয়তো নয়।

ফোন নম্বর বদলেছে জানাই আছে,

হোয়াটস্যাপ, ফেসবুকের বালখিল্য কবেই ভ্যানিশ।

শুধু আজও লাঞ্চ বাক্স খোলার সময়,

বুক দুরু দুরু।

হার্ট বিট নব্বই।

শ্বাস রুদ্ধ।

যদি চিরকুট খুঁজে পাই।

নাহয় মিরাকেল হোক,

ভুতুড়ে কারসাজি।

শত যুক্তি দিয়ে তাকে মেলানো দুস্কর হোক।

রূপকথার গল্প বলে বলুক লোকে।

চিরকুট তবু আসুক লাঞ্চ বাক্সে।

শিরশির করে তরঙ্গ হয়ে বয়ে যাক উপর থেকে নিচে।

নাহয় একমুহূর্তের জন্যই হোক।

কখনো কখনো মনে হোক না একটা স্বপ্ন।

তবু লাঞ্চ বাক্সের চিঠি চাই।

আপোষের সীমারেখা যা কিছু,পড়ে থাক বাক্সের লক্ষণরেখার বাইরে।


২৯ এপ্রিল ২০২০ (ইরফান খান স্মরণে)




Friday, 25 April 2025

চিঠি বলতে আমি শুধু প্রেমের বুঝি

 চিঠি বলতে আমি শুধু প্রেমের বুঝি।

যাতে বেশ করে রসিয়ে ভাব বর্ণনা করা যায়।

একটু থেমে জানলার দিকে তাকালে ভাবে রস বাড়ে।

বাকি ঝগড়া-তর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।

কাগজে ওসব লিখতে গেলে রাগ-রোষ-ক্ষোভ এর ইনটেনসিটি হ্রাস পায়।

পেতে পেতে তলানিতে ঠেকে, শেষে আবার ভাব রসে মিলে যায়।

মানে রোষ থেকে রস।

তাই আমার মনে হয়, মুখ থাকতে হাতে কেন!


২৫ এপ্রিল ২০২০ 



Thursday, 24 April 2025

কফি আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

কফি আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
আর তারপর
১. বত্ৰিশ সেলসিয়াসের প্যাচপ্যাচে ঘাম উধাও।
২. কাকের গলায় সুর, কিরকম যেন কোকিলি-লতা।
৩. ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম!! শব্দগুলো চেনা। কিন্তু খায় না মাথায় দেয়?
৪. চড়াইদুটো এক-একটা উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপারে বসে। গাড়ির মালিক জেনে বুঝেই ওগুলোকে নামিয়ে রাখেনি হয়তো। এই মুহূর্তে চড়াই দুটোর চোখে-চোখে খেলা। নির্লজ্জের মতো প্রেম শুরু করবে ঠিক, দেখিয়ে দেখিয়ে। ওদের দায় নেই সমাজের বখে যাওয়া নিয়ে। আচ্ছা প্রেমে কি কেউ বখে যায়?
৬. বাজার? রান্না? পেন্ডিং এক্সেল ফাইল? নিমন্ত্রণ-রক্ষা? ডাক্তারখানা? নাহ কিছু নেই আজ। শুধু ল্যাদ।
৫. উত্তরের জানালায় গ্রীকদেব নোটস গুড মর্নিং জানিয়ে ফুঁ দিয়ে পাঠালেন দক্ষিনি হাওয়া।
৭. কফিতে মল্ট হুইস্কির মৃদু নেশা। দেবী এম্ব্রোসিয়া। দক্ষিনি হাওয়ায় কানে ফিসফিস করে বলে গেলেন, এ কাজ তারই।
৮. চিৎকার করে বলে উঠি,"আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ"
১০. চোখের সামনে দেখি, ছাতিমতলায় বসে গান গায় কেষ্ট বাউল,"মন চলো রূপের নগরে"
৯. বাড়ির পাশে পলাশগাছ ছিল বলে জানতাম না তো। সে ফুলের মালা হাতে উত্তম কুমার!! পরিয়ে দিচ্ছে পাহাড়ি সান্যালে।
১১. বৃষ্টি আসছে। মনে। ধীরে বৎস তিষ্ঠ ক্ষণকাল তিষ্ঠ ক্ষণকাল। বৃষ্টির ঠিক আগে ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা উঁকি মারবে। সেটা দেখে তবে এ নেশা যেন কাটে।
এরকম সব ঘটছে না ঘটবে? নাকি ঘটেছিলো কোনো কালে? আজ মনে পড়েছে? সংখ্যা গুলো গুলিয়ে গিয়েছে না চারের পরে ছয়? হয়?
নাহ কাল থেকে কফি আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে বসা যাবে না। বরং কফি আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে বসবো। 


২৩ এপ্রিল ২০১৭ 



Thursday, 10 April 2025

শরীর সর্বস্ব


নিন্দুকেরা বলে পশ্চিমি দেশগুলো নাকি শরীর সর্বস্ব। ভালোবাসা নাকি ততদিন, যতদিন শরীরের টান। নিদেনপক্ষে মনের টান থাকলেও নাকি তার মেয়াদ স্কুলের গরমকালের ছুটির থেকে কিছুমাত্র বেশি নয়। আমাদের সহমরণের দেশের সাথে নাকি তাদের তুলনায় চলে না। লম্বাটে সুদীর্ঘ প্রসারিত জীবৎকালব্যাপী দুটি মানুষের একসাথে কাটানোর গল্প, তা সে যতই লাথি-ঝ্যাটা খাওয়াই হোক না কেন তাকেই তো আমাদের দেশ "আহা কি ভালোবাসা দ্যাখো" বলে হা হা করে। কিন্তু ভালোবাসাকে শুধুই কি লম্বাতে মাপা যায়? বরং চওড়াতেই তো তার কদর একান্তই বেশি বলে মনে হয়। আর তাই যদি হয়, পশ্চিমি দেশ আমাদের থেকে ভালোবাসাকে যে কিছু কম বোঝে না, তা বলাই বাহুল্য। আমাদের দেশে রবি থেকে চন্দ্র (বিন্দু) নানাভাবে প্রেম-ভালোবাসাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। রবি ঠাকুর প্রেমকে জিজ্ঞেস করেছেন, "ওই যে যারা দিনরাত্রি, অলো-হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, গ্রহ তারা রবি, তুমি কি তাদেরি মতো সত্য নও", "সুদূর নীহারিকা" র সাথে তুলনা করেছেন, যত্নে, সামলে।চন্দ্রবিন্দু "নায়াগ্রা" দেখিয়েছে, প্রেমিকাকে "তুমি লোড শেডিংএ চাঁদের আলোর সর, তুমি জ্বরের শেষে সূর্য ধোয়া ঘর" বলেছেন।

রবি ঠাকুরের শব্দে হারিয়েছি। চন্দ্রবিন্দুর শব্দে ধেড়িয়েছি।

আর যখন শুনি ম্যাথিউ মোল বলছেন,"তুমি ক্ষুদ্র জলাশয়, কর্দমাক্ত খোঁয়াড়-এর ন্যায় আমার জীবনে", আমি অবাক হয়েছি। এই লাইন যখন গান হয়ে এসেছে, স্মুথ এন্ড সুথ মিউজিকে, একবার একবার করে বারবার শুনেছি।

ইউটুবে একেবারেই বাকিদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া ম্যাথিউ মোল-এর ফোক গান শোনবার অনুরোধ রইলো।

১১ এপ্রিল ২০১৯ 




গাইয়ে হবু জামাই

 এক রবীন্দ্রভক্ত, বাঙালি ঘরের জামাই হবে, এ আর এমন কি কথা ভাই?

--------------------------------------------------------

বেশ অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিলো মেয়ে কমলা নাকি প্রেম করছে, তাও আবার এক গাইয়ে বাউন্ডুলের সাথে। মেয়ের বাবা ডেকে পাঠালেন গাইয়েকে। ইন্টারভিউ টাইম উইথ প্রবাবল-হবু শ্বশুরমশাই।
---------------------------------------------------------
-কতদিন ধরে চলছে এসব?
-পুরানো সেই দিনের কথা, হায় ও সেই, চোখের দেখা প্রাণের কথা .....
-থাক থাক ওকি গান শুরু করলে কেন? বলছি যে, কিছু করা হয়? নাকি বাবার হোটেলেই....
-হা-আ-আ-আই। নাই কাজ নাই। দিন যায়, দিন যায়। আয় আয়, আয় আয়। হাতে কাজ নাই॥
- ও বাবা তারমানে লবডঙ্কা!
-তোমরা যা বলো তাই বলো, আমার লাগে না মনে,আমার যায় বেলা, বয়ে যায় বেলা কেমন বিনা কারণে ....
-কি জ্বালা! আরে বাপু কি খাওযাবে আমার মেয়েকে?
- আমার ভুবন তো আজ হল কাঙাল, কিছু তো নাই বাকি, ওগো নিঠুর, দেখতে পেলে তা কি ....
-কি কপাল, মা কমলা আর কোন ছেলে পেলে না মা, শেষে এই? তা ছেলে, তোমার বাবা-মা কি বলছে?
- হায় গো, ব্যথায় কথা যায় ডুবে যায়, যায় গো--সুর হারালেম অশ্রুধারে....
- বটেই তো, তা হবে না, এ ছেলের জন্মমাত্রই মা-বাবার এই হাল বলে আমার মনে হয়! বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানো কেস, তা কি আমার ঘাড়ে পড়বার পরিকল্পনা নাকি?
- হৃদয়-আবরণ খুলে গেল তোমার পদপরশে হরষে ওহে দয়াময় ....
- জানতাম আমি, এ সব কেস কি করে ঠিক করতে হয় আমি জানি.
- হৃদয় মোর কোমল অতি, সহিতে নারি রবির জ্যোতি, লাগিলে আলো শরমে ভয়ে,মরিয়া যাই মরমে॥
-- (মাথায় হাত দিয়ে)হে ভগবান ....
-- (ইন ঘরে-বাইরে-সৌমিত্রচ্যাটার্জী স্টাইল) শাসনে যতই ঘেরো আছে বল দুর্বলেরও, হও-না যতই বড়ো আছেন ভগবান।


১০ এপ্রিল ২০১৭ 




Sunday, 6 April 2025

পাখিদের ঠেক

 পাখিদের নিজস্ব ঠেক থাকে। প্রতিদিন একবার সেখানে দেখা মিলবে তাদের। বুড়োদের আলাদা, জোয়ানদের আলাদা। তবে পছন্দের মানুষ পেয়ে গেলে অবশ্য জোড়ায় জোড়ায়। যদিও কর্মস্থানে ঝিনচ্যাক কাউকে দেখলে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করে, ঠেক ঘুরে আসে, বন্ধুদের সাথে হ্যাংআউট করে। তবে বিকেল হলে স্ট্রেইট বাড়ি। মাঝে মাঝে মুড হলে বর বৌ মিলে লং ফ্লাই করে অচেনা অলি গলি ঘুরে নতুন গাছে নাইট আউট করে। খুব আহ্লাদে ঠোঁট দিয়ে গা চুলকে নেয়।

সেদিন রসিকবাবু সিঙ্গারা খেতে খেতে বললেন, পাখিদের কখন হাসতে দেখেছ? দেখনি? আরে ভায়া, যেই মুখটা দেখছ ওটাই ওদের হাসি মুখ। হাসি কমিয়ে মুখ গম্ভীর করার প্রয়োজন ওদের হবে কেন হে!!!!


(Purono lekha)



Thursday, 27 March 2025

রঙ্গমঞ্চ

 মশাই, আজ বিশ্ব নাট্য দিবস।


নাট্য বলতেই রঙ্গমঞ্চ আর রঙ্গমঞ্চ বলতেই সেই আনন্দ-ডায়ালগ,"Babu moshai, Hum sab to rangmanch ki kathputliyan hain" আর এই ডায়লগ-এ মন ফিলোসফার।

নাট্য বলতেই রঙ্গমঞ্চ আর রঙ্গমঞ্চ বলতেই তালিয়া আর মেল্পমেনে -এর মুখোশ। তালিয়া হাসির আর মেল্পমেনে কান্নার প্রতীক।

নাট্য বলতেই রঙ্গমঞ্চ আর রঙ্গমঞ্চ বলতেই দমবন্ধ কষ্টগুলোকে প্যান্ডোরার বাক্স থেকে বার করা।

নাট্য বলতেই রঙ্গমঞ্চ আর রঙ্গমঞ্চ বলতেই HASO JIYO MUSKURAO......KYA PATA ....KAL HO NA HO।

নাট্য বলতেই রঙ্গমঞ্চ আর রঙ্গমঞ্চ বলতেই "পর্দা উঠে গেছে, অডিয়েন্স হা করে তাকিয়ে, ইট্স টাইম ফর অ্যাকশন"

(ছবিটা: গ্রীক থিয়েটারে ব্যবহৃত প্রবীণতম মুখোশ।)


২৭ মার্চ ২০১৮ 


তৃতীয়

 

থ্রি ইডিয়টস বা থ্রি মাস্কেটিয়ার্স এর মতো বন্ধুত্বে "তৃতীয়" ব্যাপারটা সর্বদাই উপাদেয়।

প্রেমের ক্ষেত্রে "তৃতীয়" একটু স্পীড ব্রেকারের মতো আচরণ করে বটে, তবে সেটা আছে বলেই এ ধরাতে ভুরি ভুরি প্রেমকাব্য-এর প্রোডাকশন।

অলিমিপিক্সে "তৃতীয়" একটি সম্মানজনক স্থান বটেই।

ভূতের রাজাও দুয়েতেই খেল খতম করতে পারতেন তবু তিনের মাধুর্য্য বুঝে, দিলেন তিন নম্বর বর ঠুকে।

বেশ।

তবু কোথাও যেন ওই এক আর দুয়ের উত্তেজনা-আবেগ-হুজুক, তৃতীয় ব্যক্তি অব্দি পৌঁছতে পৌঁছতে কেমন ম্লান হয়ে যায়।

যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়েও অসামান্যদের ভিড়ে ন্যূনতম।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র তো আর ক্রিকেটের মাঠ নয়, যেখানে তৃতীয় একজন আম্পায়ার এবং উনিই শেষ কথা।


২৭ মার্চ ২০১৯ 



Tuesday, 25 March 2025

হাওয়ার শনশন টু ঝনঝন

 - এই হ্যাল্লো।

- বলো

- বলছি যে, জানো আমি এখন ছাদে। কি ভালো লাগছে জানো ......

- সেকি কালবৈশাখী হচ্ছে শুনলাম।

- সেইজন্যই তো।

- মানে! কালবৈশাখীতে ছাদে!

- আসলে তোমার কথা ...

- আমার কথা!

- হ্যাঁ গো! তোমার কথা মনে করতেই মনে ঝড় উঠলো। দেখি বাইরেও তেমনই অবস্থা।

- হা হা।

- ঝড় উঠতেই ছুটে এলাম। এই যে হাওয়া ... উড়িয়ে নিয়ে আমাকে তোমার কাছে পৌঁছে দিক এই মুর্হুতে।

- তাই বুঝি! 

- আমি পাখির মতো উড়তে...এএ ... উড়তে...এএ... হাওয়ার শনশন শনশন শনশন ....... এ একি! একি!

- কী হলো?

- এএই কিসের ঝনঝন ...... এ এই এ হে হে ...... এ হে

- কী হলো, কী হলো ... কী বলছিলে আমার কথা মনে করে ঝড়  ...

- ধুস রাখো তো ..... আমার সব বাসন পত্তর পড়লো গো ...... এ হে হে

(কালবৈশাখী ক্লাসিক)

২৬ মার্চ ২০১৯ 




Sunday, 23 March 2025

ইটস নাথিং লাইক গঙ্গার হাওয়া

 সন্ধ্যের আকাশটাতেই তোমার সাথে,

গঙ্গার ঘাটে, বেশি, অনেক বেশি মানায়।

মানাবে যে,তা জানতাম যাওয়ার আগেই,

গিয়ে দেখি, রংটা ঠিক যেমন ভেবেছিলাম।

আংটি বদল, নকল নকল, খেলা খেলা,

স্ট্রিটলাইট, জলের শব্দ, সন্ধ্যেবেলা,

ভালোলাগা দুম করে ভালোবাসা হওয়া,

সত্যি বলছি ইটস নাথিং লাইক গঙ্গার হাওয়া।


২৩ মার্চ ২০১৯ 




বলি আবহাওয়াটা কেমন? আবহাওয়া?

বলি আবহাওয়াটা কেমন? আবহাওয়া?

রাত্তিরেতে চাদর আর দিনে রোদের তাওয়া।

ঝালে-ঝোলে-মশলা মটন?

পাকস্থলীর খারিজ করে দেওয়া।

যথারীতি ট্রাফিক আর ভ্রূকুঞ্চিত কপালে চারিদিক ছাওয়া।


বলি আবহাওয়াটা কেমন? আবহাওয়া?

কবির নামে এফআইআর, ধর্ম বাঁচানোর দাওয়া।

সবার চাই পাব্লিসিটি, নেতিবাচক হলোই বা, ওটাই "মেওয়া"।

নিজের মধ্যে অবিশ্বাসের মাল্টিস্টোরিড তৈরী হওয়া।


বলি আবহাওয়াটা কেমন? আবহাওয়া?

আকাশ এখন আর সে নীল নেই, ধূসর রং থেবড়ে যাওয়া।

ফাল্গুন ঠেঁটা, চৈত্র বেয়াদব, তাতে বরং একটু স্বস্তিই পাওয়া।

নিয়ম এখন কষ্টদায়ক, মানুষজন অনিয়মেতেই সওয়া।


আর আবহাওয়া? শশশসসসস আবহাওয়া?

সে আজকাল তৈরী হয়, মেশিন যায় পাওয়া।

যার যেমন ইচ্ছে বুঝলেন?

নগদের মাপকাঠিতে পুষিয়ে দেওয়া।


২৩ মার্চ ২০১৭ 

আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস (World Meteorological Day)



Saturday, 22 March 2025

সেই মহামারীর সময়


মহামায়া কাকিমা সকাল থেকে অবাক। বুক ধড়ফড় আজ অনেক কম। বাসবী বললো, ওই যে গাড়িঘোড়া রাস্তাতে সংক্ষিপ্ত। হর্ন ও কম। তাই .....।

টিভি টা আজ অনেক মাস পরে কাজে লাগছে দত্তবাবুর।

গৃহবন্দি আসামীর কানা মামা।

রাকা আজ রান্না করবে! যেমন তেমন নয়, পোস্তর বড়া। বাড়ির লোক হা।

রসিকবাবু আজ বহুবছর পর গিন্নীর সাথে বসে দাবা খেললেন।

শরণ্যা পুরুলিয়া যেতে পারলো না, আবার ঘুরতে যাওয়া ক্যান্সলড হলো। কাল সারারাত কান্নাকাটি। মা বলেছে, আজ স্পেশাল চিংড়ি বানাবে। তোড়জোড় শুরু। সকাল থেকে তাই পুরুলিয়ার দুঃখে সাময়িক বিরতি।

পিউ আজ প্রায় ৭ বছর পর হারমোনিয়াম বের করলো, ধুলো ঝাড়ল, শুধু কি তাই? "আকাশ ভরা সূর্য তারা" শুরুতে একটু হোচট খেলেও, পরে সহজেই বাজাতে পারলো।

চঞ্চল আজ বাবার সাথে লাঞ্চ করলো এক টেবিলে বসে, আফটার এ লং ইলেভেন ইয়ার্স গ্যাপ। নাহয় জোর করেই, দুজনেই ভিতরে ভিতরে এক আজলা স্বস্তি নিশ্চয় অনুভব করেছে।এই এই রে ....... কি হলো।

পলাশ প্রিয়া চিৎকার করছে ছাতে? পড়ে গেলো নাকি! কি বিপদ হলো রে বাবা। কি হলো? হ্যাঁ? বসন্তবৌড়ি এসেছে বুঝি, হ্যাঁ হ্যাঁ ওই আম গাছের ওই ডালে। হা হা হা হা। পলাশ প্রিয়ার ক্যান্সার স্টেজ ৫ এ প্রতিটা মুহূর্ত যখন তাড়াতাড়ি হুড়োহুড়ি করে চলে যাচ্ছে, বসন্তবৌড়ি আজ গুপীর গানের মত হঠাৎ সব থামিয়ে দিল।

খুব সহজেই ভীষণ রকম স্পেশাল হয়ে উঠলো "আজ"।


মাঝে মাঝে সব কিছুই বড্ড ভালো লাগে। ইন্দ্র বলবে, লজিক আছে নিশ্চয়। ধুস, ভালো লাগছে ব্যাস। কোনো কারণ থাকুক বা না থাকুক। ভালো লাগছে।


২২ মার্চ ২০২০ 



Friday, 21 March 2025

কোভিড

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসে NO2 শার্প ফল করেছে।

রাস্তাতে লোক কম, গাড়ি কম।

প্রকৃতি রিকভার করছে। দম নিচ্ছে।

প্রকৃতির এই ষড়যন্ত্র করা ছাড়া বোধহয় আর উপায় ছিল না।

মানুষের অত্যাচার থামছিল না শত হিন্টসেও।

কথা বলতে পারেনি, গলা তুলতে পারেনি, ঘুষি মারতেও না।

প্রকৃতি একটু রিকভার করে নিক।

খেলাটা তারপর সামনে সমানে হবে।

২১ মার্চ ২০২০ 



Thursday, 20 March 2025

বাঙাল-ঘটি, আমি কি?

 ‘মোহনবাগা …................…ন’

পাশের বাড়ি থেকে হঠাৎ চিৎকারটি দমকা এল,
কিছু একটা ভাবছিলাম, চিৎকারে তা গুলিয়ে গেল!
ওই বোধহয় ম্যাচ আজকে, গোল দিল মোহনবাগান,
তবে তো শুরু হল বলে পাশের বাড়ির বাঙাল-স্লোগান!
বাঙালিদের চিরকালীন বাটি-ঘটি ঠোকাঠুকি,
ইলিশ্-চিঙড়ি, পাতুরি-পোস্ত, ঝাল-মিশ্টি টুকিটাকি.
“বাঙাল? হদ্দ নোঙরা! ঝগরুটে!
শাক-লতা-পাতা দিব্বি খায় চেটে-পুটে!
বিঘা-বিঘা জমিদারির গপ্পো! শুধু ওদের বুকনি,
আমাদের দেশে এসে আমাদেরই চোখ রাঙানি!"
"ঘটি! আলু-পোস্ত আর চিঙড়ি এ ছাড়া কিছু বোঝে,
আতিথেয়তা জানে? শুধু কিপটেমিটাই আছে!
পায়রা ওড়ানো বাবুয়ানার দল আমাদের বলে ঝগরুটে?
ওরা তবে কি? স্বার্থপর-হিংসুটে!”
পরিচিত মতবিরধ, চেনা তর্ক অনন্তকালের,
ভাবি বসে একান্তে, অমি তবে কোন দলের?
চিঙড়ি মাছের মালাইকারি আমার লাগে বেশ!
চুনো মাছের পাতুরি এক নিমেষে শেষ!
লুচি-ছোলার ডাল, ইলিশ মাছের ভাপা,
নকুরের জলভরা আর পাটি-সাপটা!
শুনেই চোখ চকচক, জিভে জল ভাসে,
বাঙাল না ঘটি, তখন কি মনে আসে!
"আমাগো দেশে আমার বাপের বিঘা-বিঘা জমি সিলো,"
"নুচি-ছোলার ডাল করেছি, খেয়ে বাপু এঁটো পেড়ে নিও."
উত্তমকুমার আহিরিটোলা, সুচিত্রা সেন পাবনা.
বাঙাল- ঘটির এই জুটিটি সিনেমায় আনলো রেনেসাঁ.
‘মাসিমা মালপো খামু’ ভানু ব্যানার্জির কির্তি,
আর রবি ঘোষের বিখ্যাত ‘গল্প হলেও সত্যি’!
রবি ঠাকুর যদি গীতাঞ্জলি, জীবনানন্দ তবে বনলতা,
অমর্ত্য সেন-সত্যজিৎ বাঙাল-ঘটি পেরিয়ে বিশ্ববিজেতা.
এরা সবাই আমার প্রানের, এরাই আমার বাঙালিয়ানা,
বাঙাল-ঘটির মিশ্রনে আমি তবে বাঘ একখানা.
২০ মার্চ ২০১৭  







Wednesday, 19 March 2025

ঘুম স্টেশন

ঘুমের ঘোরে বোঝা যায়নি,

ঘুম স্টেশন এসে গেছে।

ঘুমন্ত রায় বললেন,

লন্ডনে ghum নামে,

একটি punk rock মিউজিক ব্যান্ড আছে,

তাঁর গান শুনলে ঘুম উড়ে যাবে।

উড়ে কোথায় যাবে?

গভীরতা হালকা হলে পাঞ্জাবের ঘুমান এ।

আর যদি অন্তরের ডাক আসে,

তবে হিমালয়ের ঘুম monastery তে পড়বে ঝপাং করে।


১৯ মার্চ ২০২১ 




Tuesday, 18 March 2025

ঢুলু ঢুলু সন্ধ্যে

 ঢুলু ঢুলু সন্ধ্যে।


গ্লাস ফুল যাদের চোখে পড়লো, দেখে এড়িয়ে গেলো।

কেউ একটা টু-শব্দ করেনি।


গ্লাস হাফ যাদের চোখে পড়লো, দেখে থমকে গেলো।

"রাম" নাম জপতে লাগলো।

ফুল গ্লাসে তিনি দিব্ব্যি মিস কোলা,
হায়,
হাফ গ্লাসে লোকে রটালো "রাম-লীলা"।

সন্ধ্যের আলো মাতালের চোখে লাগে?
নাকি মাতালের তালে সন্ধ্যে নেচে ওঠে?


১৯ মার্চ ২০১৮ 



Tuesday, 11 March 2025

ভালো করে ঘুমোও, ঘুমোলেই ঠিক হয়ে যাবে

 "ভালো করে ঘুমোও। ঘুমোলেই ঠিক হয়ে যাবে।

ঘুম থেকে উঠলে রাগ কমে যাবে।
ঘেন্না মিলিয়ে যাবে।
দুঃখ ভুলে যাবে।"
একবারে রক্তপাত না হলেও ভিতরে ভিতরে কিছু চিড়চিড় করছে।
একটা ধারালো কিছু বিঁধছে।
বাইরে কিছু নোংরা পচছে। ভীষণ দুর্গন্ধ।
একটু পরে সবাই সে গন্ধ পাবে।
গলার কাছে রাগ দলা পাকিয়ে।
মাথা ঘুরছে। চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে।
গলা ফাটিয়ে।
এমন এক চিৎকার, যাতে পুরো শহর কয়েক সেকেন্ড থমকে যায়।
অতর্কিতে। কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
বঙ্গোপসাগর আর আটলান্টিক এক করে দেওয়া কান্না।
গিলে ফেলার নাটকে ক্লান্তি বড়ো।

"ভালো করে ঘুমোও। ঘুমোলেই ঠিক হয়ে যাবে।
নেশা করো নেশা। তাতে ঘুমঘুম হবে।
ঘুম থেকে উঠলে রাগ কমে যাবে।
ঘেন্না মিলিয়ে যাবে।
দুঃখ ভুলে যাবে।"

ইউটোপিয়ার বাউন্ডুলে

 

কান্না নেই, ঘেন্না নেই,

কষ্ট আবার কাকে বলে!

ইচ্ছে নেই যাচ্ছেতাই,

ইউটোপিয়ার বাউন্ডুলে।


শুধু পূর্ণিমাচাঁদ ওঠে যেই,

সবটা কেমন গোলমেলে,

একটা ঘুমঘুম ট্যাবলেট,

ইউটোপিয়ার বাউন্ডুলে।


১২ মার্চ ২০১৯ 


Monday, 10 March 2025

রোববার বিকেল মেনু

 রোববার বিকেল মেনু:

গরম চা
তেলে ভাজা
মুড়ি
কোহলি না সচিন
মটনের দাম বেড়েছে
সিকিম টা এবারও মিস
গরমটা এবার ভালোই পড়বে
অফিসের বসের অযৌক্তিক দাবি
আশেপাশের নন ইন্টেলেকচুয়েল বকওয়াস
পুরোনো প্রেমটা
রান্টাক না জেলুসিল
হোয়াটসঅ্যাপ চুটকি
মুড়ি
তেলেভাজা
গরম চা 

10-mar-2019



Friday, 7 March 2025

সাতজন্মের বন্ধু

আমার যখন তোর সাথে মেলে,
সবটাই আদ্যোপান্ত মেলে।
গাই, হাসি, শুনি, ভাবি, বলি,
কোথাও এতটুকু হোঁচট নেই।
ঠিক যেন সিনেমা একটা,
লোকজন বলে, স্ক্রিপ্টেড।
আর যখন মালিন্য হয়,
মন অচেনা অচেনা ঠেকে,
তখন সহজ কথা, নরম সুর,
হার্ড মেটাল হয়ে যায়।
নতুন করে চেষ্টা করি তখন,
বোঝাতে চাই "আমার" কথা।
তুই তখন বোঝাতে চাস তোরটা,
বেতালে সবটা ঘেটে যায়।
কথার পর কথা হয়ে যায় শুধু,
শেষটায় সব যায় গুলিয়ে।
চিৎকার, ছটফট, অশান্তি,
হাঁসফাঁস গুমোট লাগা,
ভয়ানক বুক চিনচিন,
এক মুহূর্তে সাতজন্মের বন্ধু,
তাকলামাকানের পরদেশী।
পালিয়ে যেতে চাই, যাইও।
দমবন্ধ কাটতে না কাটতেই
প্রচন্ড মিস করি তোকে।
তুইও বোধহয় ফোনে আমার
মেসেজের অপেক্ষা করিস।
ফের দুজনে চেষ্টা করি,
নতুন করে টিউন করতে।
তুই আবেগ গোলা "সরি"
বললে, আমি কেঁদেই ফেলি।
মাথা ঝাঁকিয়ে তোকে বলি
"কেন যে এতো দেরি করলি"।

০৭ মার্চ ২০২০ 



Wednesday, 5 March 2025

কবিতা বললো

 কবিতা বললো,"আর পারছিনা, রাস্তা দিয়ে চলা দায়, থিক থিক করছে গল্প"

গল্প বললো,"কবিতার হেবি ঘ্যাম। পাশ দিয়ে গেলে এমন ভাবে তাকায় যেন গিলে খাবে"
উপন্যাস বললো,"আমার মাথা তোলবার সময় নেই, সবে ৪০০০০ হলো, ছুটছি আমি, অনেকটা পথ বাকি"

পাঠক কখনো সন্তর্পনে পা টিপে টিপে, কখনো এদিক-ওদিক দেখে, কখনো ছুট্টে পৌঁছে যায়।

কোথায় পোঁছায়?

ছাতিমতলায়।



সাড়ে চুয়াত্তর মণ

- কন্যে, বলো কি করতে পারি তোমার জন্যে। পরশু তোমার হ্যাপি বাডডে।
- ধুস বাদ দে।
- সেকি? কেন?
- বানান ভুল ওয়ালা ঢাউস কেক আনবি প্রতিবারের মত। এর চেয়ে বরং ডেট টা ভুলে যা। সারপ্রাইজ হবে ওটাই।
- কি জ্বালা। লোকে ডেট ভুলে যায় বলে কত গালি খায় আর আমি মনে রাখি তাই খাই। দামী গিফ্ট তুমি নেবে না বলে সাশিয়ে রেখেছ কত ছয় জন্ম। কেক হল স্রেফ .....
- সেফ। জাস্ট সেফ খেলা। তুই বরং আমাকে একটা রোমান্টিক চিঠি দে দেখি।
- পত্র? প্রেম? বাংলা?
- অবভিয়াসলি। বাংলা এন্ড উইথ নো স্পেলিং মিসটেক।
- এর থেকে বরং তোকে মাঝরাতে হুগলির লাইট হাউস এর উপরে উঠে আই লাভ ইউ বলবো? দই এর সর টা তুই খাস? মশারি আমিই টাঙানো র দায়িত্ব নিলাম এক্সট্রা ওয়ান উইক? কিন্তু পত্র! আমার হাতের লেখা দেখলে তুই যে তোর মানসিক স্থিতি হারাবি সোনা। এ রিস্ক নিস না।
- পত্র অ্যান্ড ওনলি পত্র। এ ছাড়া নো নত্রচত্র। আর চিঠির সামনে মিষ্টি করে লিখে দিবি "সাড়ে চুয়াত্তর".
- তুলসী বাবু, মলিনা দেবী, ভানু?
- হমমম সাথে পদ্মাবতী, আলাউদ্দীন খিলজী আর জহরব্রত
- মানে?
- চিঠির সামনে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সংখ্যাটি লিখে রাখা মানে প্রাপক ছাড়া অন্য যে ব্যক্তি এই গোপনীয় চিঠিটি খুলে পড়বে তার ভাগ্যে সাড়ে চুয়াত্তর মণের নির্মম অভিশাপ নেমে আসবে।
-সাড়ে চুয়াত্তর মণ?????
-আলাউদ্দীন খিলজী চিতর আক্রমণ করলে, রাজ্যের পতনে নিজসহ প্রাসাদের নারীদের আত্মসম্মান রক্ষার্থে রাণী পদ্মিনী জহরব্রত করে মৃত্যুবরণ করল। সাথে কিছু সৈন্যও মৃত্যুবরণ করলো। এই আত্মহত্যা করা সৈন্য ও রাণীদের ছাইভষ্মের ওজন নাকি ছিল সাড়ে চুয়াত্তুর মন!

সেই থেকে শুরু গোপনীয় চিঠির সামনে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সংখ্যাটি লিখে রাখা। যাতে চিঠির প্রাপক বাদে অন্য কেউ সেই চিঠি খুলে না পড়ে। অন্য কেউ সেই চিঠিটি খুলে পড়লে তার ভাগ্যে “সাড়ে চুয়াত্তর মণের অভিশাপ” নেমে আসবে। শুরুতে সম্ভবত যে কোনো গোপনীয় চিঠির জন্যই এই প্রথা চালু ছিল, পরে মূলত প্রেম পত্রের সামনে লেখা থাকত সাড়ে চুয়াত্তর। রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশ থেকে ক্রমশ এই প্রথাটি ছড়িয়ে পড়ে ভারতে এবং স্বাভাবিকভাবে অবিভক্ত বাংলাতেও।
- তুলসী বাবু কে তাই ওই ভোগান্তি পোহাতে হল। এবার বুঝলাম। 


০৫ মার্চ ২০২০ 




Monday, 24 February 2025

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আর গল্পদাদু


তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। আকাশবাণীতে প্রোগ্রাম করেন এক ভদ্রলোক, নিয়মিত যেমন ডিউটি করতে যান, সেদিনও গিয়েছেন। পৌঁছে দেখেন, আকাশবাণীতে যন্ত্রপাতি, মানুষজন সব বদলে গেছে রাতারাতি। মিলিটারিরা পাহারা দিচ্ছেন। তার মধ্যে একজন অর্ডার দিলেন, একটা রেকর্ড "মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা" পরপর দুবার বাজাতে। খুব অদ্ভুত। অনেক প্রশ্ন সত্ত্বেও মিলিটারির অর্ডার, তাই মানতেই হলো। গানটি পুরোটা পরপর দুবার বাজলো। পরে জানা গিয়েছিলো যে, ঐটি ছিল সৈন্যদের জন্য কোডেড মেসেজ। গানটি পুরোটা দুবার বাজা অর্থাৎ "attack"। এই মেসেজ পেয়ে সৈন্যরা যশোর দিয়ে ঢুকে আক্রমণ চালান। বাংলাদেশ থেকে দুর্বৃত্তদের দূর করেন। যে ভদ্রলোক সেদিন এই রেকর্ড বাজিয়েছিলেন, এই যুদ্ধে পরোক্ষভাবে তিনিও যোদ্ধা।

এই ভদ্রলোক হলেন গল্প দাদু।

"আকাশ আমার পায়ের তলায়" শুনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আকাশকে পায়ের তলার বস্তু বলেই বিশ্বাস করেছিলাম যার কণ্ঠস্বরে তিনি আমাদের গল্পদাদু। এই গল্পদাদুর প্রথম পরিচিতি বাবার কাছে। বাবা বলেছিলেন, আকাশবাণীতে একসময় গল্প দাদুর আসর হতো, যেখানে ছোটদের জন্য গল্প পাঠ হতো। সেই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ যেমন সানডে সাসপেন্স হয়। এই গল্পদাদুর গল্প শোনা হয়ে ওঠেনি কখনো আকাশবাণীতে। কিন্তু পরবর্তীকালে দূরদর্শনের রেকর্ডিং-এ দেখেছি তাঁকে। ইউটুবের কল্যানে তাঁর শ্রুতিনাটক শুনেছি। আবৃত্তি কাকে বলে, খায় না মাথায় দেয়, জেনেছি তখন।

ঘরের দাদু থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধা, পার্থ ঘোষ মশাইয়ের সাথে আবার দেখা। আরও একবার।বললেন,"শরীর ভালো নেই"। ভালো থাকতে হবে গল্পদাদু। গল্প অনেক বাকি। এইপ্রজন্ম তো জানতেই পারলো না সে ছেলেটার কথা যে পায়ে গুলি ঢুকে যাওয়া অবস্থায় মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড আগে রবীন্দ্রনাথ-বাংলাদেশের উদ্যেশ্যে কবিতা লিখছে। জানতে পারলো না আজ যে ভাষা প্রায় একটা বোঝা সেই বাংলাকে বাঁচানোর জন্য কত রক্ত, কত আবেগ। তোমাকে তাই ভালো থাকতেই হবে। ভালো থাকতে হবে গল্পদাদু।

২৫- ফেব্রুয়ারি - ২০১৯ 



Wednesday, 19 February 2025

হ্যাপি রোজ ডে

 সবাই কিন্তু বড্ডো রেগে। গা রি রি করছে সবার।


নটিবিনোদিনী শুধু হ্যাপি রোজ ডে তে বলেছেন,"নিতুই নতুনভাবে গাঁথি ফুলহার, মালা কি ভালোবাসো প্রাণেশ আমার?"
ব্যাস অমনি সবাই রেগে র।

স্যার জগদীশ বলছেন,"এ অতিশয় অন্যায়, এভাবে শুধুমাত্র চিত্যবিনোদনের জন্য গোলাপের যে রূপ হত্যা হইলো, তার আমি তীব্র নিন্দা জানাইতেছি”.
রবিঠাকুর বলছেন," বনে যতগুলি ফুল আলো করি ছিল শাখা, কারো কচি তনুখানি নীল বসনেতে ঢাকা, উউউফফফফ কষ্ট"
মান্না দে বলছেন,"মানুষ খুন করলে পরে, মানুষই তার বিচার করে, নেইতো খুনের মাফ, তবে কেন পায়না বিচার নিহত গোলাপ"
অঞ্জন দত্ত বল্লেন," নেই যে তাদের আর কোন চাওয়া-পাওয়া, শুধু খাতার ভেতর চ্যাপ্টা গোলাপ ফুল .. ল.. ল..ল ..ল .......
আই ডোন্ট নো, মানে আই ডোন্ট..... ধুর আমার জাস্ট ভালো লাগছে না।”

************************
জানি রে বাবা আজ রোজ ডে নয়, ঠিক আছে, কিন্তু তথ্য জোগাড় করতে সময় লাগবে, তাই না। আর এক সপ্তাহ পরে এই খবর দেওয়ার কারণ ছিল অপেক্ষা, দত্তবাবুর মত বদলানোর। বাট নাথিং, কাল তাকে ফোন করতেই, তিনি বললেন,"রঞ্জনা, আমি আর আসবো না"


১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 





Wednesday, 12 February 2025

ভ্যালেন্টাইন্স

 - ভ্যালেন্টাইন্স দিনে কি দেবে আমায়?

- কি চাও বলো?

- এমন বলছো, যেন সবকিছু তোমার হাতের মুঠোয়!

- আহা বলেই দ্যাখ না। তুমি চাইলে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে ইকো করবো। নদীর জলে তোমার নাম লিখবো। হাওয়ায় চুমু ছড়িয়ে দেব।

- কিন্তু এসবই তো ক্ষণস্থায়ী। ধরে রাখবো এমন কিছু দাও।

- তাহলে আমার বিশ্বাস নাও। বাঁচবো যতদিন তোমার থাকবো এই বিশ্বাস দিলাম তোমায়।


১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 






হাগের মতই

 রসিকগিন্নী অনেকদিন বাপের বাড়ি।

রসিককর্তা অনেকদিন চাকরিসূত্রে বাইরে বাইরে।

রসিককর্তা ভারী মিস করছেন গিন্নীকে।

সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

রসিকবাবু সবে সবে বাংলা টাইপ শিখেছেন।

তাই আনন্দে, আজ মন খুলে একটি মান্না-দে-হোয়াটস্যাপ-মেসেজ করলেন বৌকে,

"খুব জানতে ইচ্ছে করে, খুব জানতে ইচ্ছে করে তুমি কি সেই হাগের মতই আছ নাকি অনেকখানি বদলে গেছ"

...

রসিকগিন্নীর মেসেজ এলো,"কীইইইইইইই! তুমি আমার ওজন তুলে কথা বললে? আমি হাগের মতো না থাকলে কী কঞ্চি খুঁজতে যাবে? অন্য ঘাটে নৌকো ভেড়াবে ভাবছো বুঝি!"

সঙ্গে একটা মুড়ো ঝ্যাঁটার ছবি পাঠিয়ে, ফোন বন্ধ করে রেখেছেন, রসিকগিন্নী। আর কথা বলছেন না।

আরে ধুর । "আগের" কখন "হাগের" হয়ে গিয়েছে টাইপ করতে গিয়ে, তা বোঝার আগেই রাগের বাগে পড়তে হলো রসিকবাবুকে । 

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৮ 



হাগ্ ডে


রিক্সাওয়ালা ও রসিকবাবুর কথোপকথন-

- রসিককাকু আজ একটু তাড়াতাড়ি আপনাকে বাজারে নিয়ে যাবো, বিকেলে মানে একটু আজজেন্ট কাজ আচে।

- সে ঠিক আছে, কিন্তু কি এমন আর্জেন্ট কাজ হে পলুরাম?

- ইয়ে ও কিচু না, মানে ওই রানীর সাথে দেকা কত্তে যাবার ......

- ও হো বুঝেছি, তাই একেবারে তোমার রিক্সা একেবারে ত্রিকোণমিতির মতো চলেছে। তা একটু আগে সময় দিতে পারলি না রে ছোকরা?

- আসলে কাকু আজ হাগ্ ডে না, এ হপ্তা তো নিয়ম করে সব হলো, আর হাগ্ হবে না, কিন্তু লোকে দেকলে কেলো তাই, রানী বললো সন্ধ্যের পর যেতে। 

কাল ছিলো চুমু ডে। হি হি । 

- চুমু! অ! তা কাল চুমু খেয়ে আজ হাগ্- ডে যাচ্ছো?

- হিহি কী যে বলেন কাকু । কাকু, আজকাল মেয়েরা খুব সেয়ানা, গিফট নিতে ছাড়বে না, রোজ গিফট নি .. কি হলো কাকু অমন হা হয়ে আচেন যে। বলি আপনি হাগ্ করেচেন কাকিমাকে?

-হা ....

- গ, হ্যা হাগ্ করেচেন?

- হাগ্ দেখাচ্ছি, একেবারে পাকার ডিপো, ওরে তোকে তো জন্মাতে দেখলাম রে ছোকরা, হাগ্ দেখাচ্ছিস? হাগ্? চল ভাগ।


১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 



Monday, 10 February 2025

হ্যাপি চকলেট (ডে)

 বাঙালি আমি, খাঁটি।

প্রমান চাই?

প্রথম শব্দ লিখেছিলাম অন স্লেট "লেট"।

(তবে বাঙালি আজকাল অনেক বেশি পাংচুয়াল বটে).

বয়সবৃদ্ধির সাথে চিঠিতে লিখেছি কাপলেট।

গিলেছি মিত্র কাফের কাটলেট, তারপর গাদা গাদা জেলুসিল ট্যাবলেট।

প্রেম করতে গিয়ে বারবার গুবলেট, ফলস্বরূপ সয়েছি বুলেট।

আজও তাই।

এতো সাধ করে গিফট করলাম ব্রেসলেট, কিন্তু উইডাউট চকোলেট!! ব্যাস!! তবে আর কি, মানভঞ্জন কনটিনিউস।

হে বাঙালি, ছাড়ো ওমলেট, হ্যাপি চকলেট (ডে)

০৯ - ফেব্রুয়ারি - ২০১৭ 








শীত তো নয় যেন গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স

নলেন গুড়, খাই খাই, পিকনিক, বইমেলা এমনকি শীতটাও শেষ হতে চলেছে।

এমন রাগ হয় যে কি বলবো।

শীত তো নয় যেন গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স।

আরে বাবা, দু এক মাস আরো থেকে যাবি, তা না।

মাঙ্কিক্যাপটা তো সূর্যের মুখ দেখতেই পেলো না।

মটনের ইনটেক ২০% বাড়াতেই ঘেমে ঘ।

শাটল গাড়ির চারজনের সিটটা আবার তিনজনের মনে হতে শুরু করেছে।

সবাই এক্সপান্ড করছে, প্রস্থে।

ধুস।

আর রোববার সন্ধ্যেতে রোমহর্ষক ভূতের গল্পে কম্বলের মরাল সাপোর্ট সেটা!!??

আরে বাবা, বেহালা টু বইমেলা জার্নি সামলানোর মত মানানসই ক্লাইমেট টা তো নিদেনপক্ষে চাই নাকি!

আর কতকিছু যে রইলো বাকি!

সার্কাস দেখা বাকি,ক্ষীরাই যাওয়া বাকি,লাল-হলুদ শাড়ি পড়ে বোলপুরে সেল্ফি কিচিক বাকি,বল্টুকে মুখ থেকে ধোয়া বার করা ম্যাজিক দেখানো বাকি,জমাট কুয়াশাতে প্রিন্সপ ঘাট থেকে দৌড়ে এসপ্লানেড যাওয়া বাকি,ঠাকুমার কোলে শুয়ে কম্বল মুড়িয়ে খই নাড়ু খাওয়া বাকি।

আর মাখোমাখো প্রেমে বাহু জড়াইয়া, পুস্পকাননে টহল দিয়া, কড়াইশুটি র কচুরি গিলিব, নব্য আলুর সহিত, উহাও বাকি।

ধুস।

P.S. অল্টারনেট ডে তে স্নানের রুটিন আবার ব্যাক টু ডেইলি রুটিন। ইটস বোরিং, ম্যান।



শুক্রবার এলেই আমার মনে হয়

 শুক্রবার এলেই আমার মনে হয়:

১. ঘরময় মটন বিরিয়ানির গন্ধে ভরে যাক

২. বিস্কুটের কামড়ে ফিশ কবিরাজি ফীল হোক

৩. বাথরুমে ঢুকলে জলের আওয়াজ ছাপিয়ে সামারঅফসিক্সটিনাইন নিনাদিত হোক

৪. স্বপ্নে পেঙ্গুইন, টিনটিন, প্রফেসর শঙ্কু আর ভোরের দিকে উত্তম কুমার আসুক

৫. আকাশের মেঘলা হওয়ার অধিকার না থাকুক

৬. পুরোনো এক চিঠি হঠাৎ করে চোখের সামনে এসে পড়ুক, নস্টালজিয়া কব্জা করুক দুপুরটা

৭. টিভিতে প্রতি রবিবার নায়ক সিনেমা ম্যান্ডেটরি হোক

৮. তেলেভাজাতে এসিডিটি হোক, সে জ্বালা গলা অব্দি না পৌঁছুক

৯. জানালার বাইরে শালবনি নজরে পড়ুক

১০. ঢাকের আওয়াজ ভেসে এসে চারিদিক দুগ্গা পুজো দুগ্গা পুজো করে দিলে বেশ হয়


০৭ - ফেব্রুয়ারি - ২০২০ 




একান্নবর্তী

 একান্নবর্তী পরিবারের বারান্দা টানা ঘর।

কেউ বড়ি শুকোতে দেয়, পা ছড়িয়ে গল্প করে।

শীতের সন্ধ্যে নামলে বড় তাড়াতাড়ি অন্ধকার হয়ে যায় সে।

হারমোনিয়াম প্রাক্টিস আর শাঁখের আওয়াজ মিলে মিশে একটা নতুন সুর সৃষ্টি করে যায়।

সারাদিনের শোরগোল হঠাৎ ভ্যানিশ হয়ে যায়।

নিশাবসানের অপেক্ষা চলে।

বারান্দার নিজেকে বড্ডো একা মনে হয়।

05-feb-2021



Tuesday, 28 January 2025

জীবন যুক্তিহীন

এই যে ধরুন ভালোলাগছে কাউকে, মনে মনে একটা চার দেওয়ালে তাকে এই যে বেঁধে নেওয়া, এই যে চোখে-ঠোঁটে-গালে লেগে লেগে থাকা, এই যে মুহূর্তেই সবচেয়ে কাছের সবচেয়ে প্রিয় আত্মার আত্মীয় হয়ে যাওয়া,

তারপর

এই যে একদিকে পালাই পালাই ভাব, অন্যদিকে এই যে ছেড়ে দিতে না চাওয়া, এই যে কান্না গিলে হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া,

তারপর

রাস্তায় হঠাৎ আবার এই যে তার সাথে দেখা হওয়া, বুকের ভিতর এই যে চিনচিন, এই যে চোখ না নামিয়ে এগিয়ে যাওয়া, কষ্টকে এই যে এখন আর ভয় না পাওয়া,

একে বোধহয় পরিপূর্ণতা বলে।

একেই বোধহয় রবীন্দ্রনাথ বলে।

একেই বোধহয় সাহিত্য বলে।

আর একেই বোধহয় আল্টিমেটলি জীবন বলে।

 oedosSrnpt80m19altJ2auaf1u1rg52t9a hy0ca cn8121af21a5h5212u0